চলতি বছরের ২ জানুয়ারি থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে মোট ১৫৪০টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এসব অভিযানের মাধ্যমে ৩৭৯৭টি মামলায় ২৬ কোটি ৩৮ লাখ ২৬ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ উদ্যোগে পরিচালিত অভিযানে ৪৮৯টি ইটভাটার চিমনি ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। ২১৬টি ভাটার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং ১৩৩টি ভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়। পাশাপাশি ২৫টি পলিথিন কারখানার সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও সিলগালা করা হয়েছে।
এছাড়া ১৩২টি প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ১৩ প্রতিষ্ঠান থেকে নয়টি ট্রাক সিসা বা ব্যাটারি গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করে কারখানা বন্ধ করা হয়েছে।
গতকাল ফেনী, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘন ও নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন ও বিপণনের অভিযোগে তিনটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এতে নয়টি মামলায় ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় ও ৩১৯ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়। বাজার ও সুপারশপে সচেতনতামূলক লিফলেটও বিতরণ করা হয়েছে।
একই দিনে মানিকগঞ্জ এবং ঢাকার মতিঝিল-গুলিস্তান সড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত কালো ধোঁয়া নির্গমন রোধে দুটি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। সাতটি মামলায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং কিছু চালককে সতর্ক করা হয়।
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী নড়াইল, বান্দরবান, শরীয়তপুর, মানিকগঞ্জ ও চট্টগ্রামে পাঁচটি মোবাইল কোর্টে ১৯টি মামলায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং ৩৪টি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা হয়।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষায় দূষণবিরোধী এই অভিযান সারা দেশে অব্যাহত থাকবে।