ঢাকা ও চট্টগ্রামের আদালত দুইটি ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। অগ্রণী ব্যাংকের নূরজাহান সুপার অয়েলের ১৪৫ কোটি টাকা এবং জনতা ব্যাংকের এএফসি হেলথের ৮৩ কোটি টাকার ঋণখেলাপি মামলায় এ নির্দেশনা এসেছে।
গতকাল সোমবার ঢাকার অর্থঋণ আদালত-৫-এর বিচারক মুজাহিদুর রহমান এএফসি হেলথের পরিচালকদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন। এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালত-৩-এর বিচারক মো. ফরহাদ রায়হান ভুঁইয়া নূরজাহান সুপার অয়েলের পরিচালকদের জন্য একই নির্দেশ দিয়েছেন। নূরজাহান সুপার অয়েলের চার পরিচালক হলেন– জসিম উদ্দিন, তাসমিন মনোয়ার, জহির আহমেদ রতন ও টিপু সুলতান। তারা অগ্রণী ব্যাংকের লালদিঘী শাখার ১৪৫ কোটি ১২ লাখ টাকার ঋণ খেলাপি।
এদিকে এএফসি হেলথের পরিচালকরা হলেন– এসএম সাইফুর রহমান, জুয়েল খান, মো. আফজাল, মো. জিয়াউদ্দিন, মো. সাইদুল আমীন ও শামসুদ্দোহা তাপস। তারা জনতা ব্যাংকের ৮৩ কোটি ২৮ লাখ টাকার ঋণ খেলাপি। আদালত আদেশের কপি বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন)-এর কাছে পাঠানো হয়েছে, যাতে তারা দেশ ছাড়তে না পারেন।
আদালত সূত্র জানায়, এএফসি হেলথের কুমিল্লা ইউনিট প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার জন্য জনতা ব্যাংক অনেক আগে ৪২ কোটি ৭৯ লাখ টাকার ঋণ দিয়েছে। এই ঋণের কোনো টাকা তারা পরিশোধ করেননি। ঋণের অর্থ অন্য কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির দায় ব্যাংকের সুদসহ ৮৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ব্যাংকে আরও ঋণ রয়েছে। আদালত আশঙ্কা করছে, যদি পরিচালকরা দেশত্যাগ করেন, তাহলে বড় অঙ্কের ঋণ আদায় করা কঠিন হয়ে যাবে।