জুলাই আন্দোলনে নিহত মো. সাগরের পরিবার প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন। একই ঘটনায় আগে থেকেই একটি মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও নতুন করে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সাগরের মা বিউটি আক্তার। এ নিয়ে তিনি আদালতে মামলা দায়েরের আবেদন করেছেন।
আবেদনে তিনি শাহ আলী থানার ওসি ও এক পুলিশ পরিদর্শকসহ আটজনকে আসামি করেছেন। তাদের মধ্যে আছেন এক মামলার বাদী, তিনজন আইনজীবী এবং দুইজন সাক্ষী। আজ বুধবার কুমিল্লার দেবিদ্বার থানার বড় শালঘর গ্রামের বাসিন্দা ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত সাগরের মা বিউটি আক্তার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইসতিয়াকের আদালতে এ আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন এবং আদেশের জন্য অপেক্ষা করছেন। আবেদনে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তারা হলেন—
- খন্দকার নূরে আমীন সিদ্দিক (শাহ আলী থানার ৯(৩)২৫ নং মামলার বাদী)
- আইনজীবী নাসিম উদ্দীন মো. বায়েজিদ, আহসান হাবিব ও আশরাফুল ইসলাম
- সাক্ষী আব্বাস আলী ও তাহের মালতিয়া
- শাহ আলী থানার পরিদর্শক (নি.) মো. মতিউর রহমান
- অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম।
গত বছরের ১৯ জুলাই জুলাই আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন সাগর। এ ঘটনায় তার মা মিরপুর থানায় মামলা নং-৫৪(১১)২৪ দায়ের করেছিলেন। মামলার কিছু আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তারও করে কিন্তু অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই মামলাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নতুন করে আরেকটি মামলা সাজানো হয়। এজন্য আসামিরা আদালত থেকে সাগরের মৃত্যু সনদের ফটোকপি সংগ্রহ করে শাহ আলী থানা এলাকায় ঘটনাস্থল দেখান।
এরপর খন্দকার নূরে আমীন সিদ্দিক নিজেকে নিহত সাগরের বোনের জামাই পরিচয় দিয়ে গত ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে একটি সি.আর মামলা দায়ের করেন। পরে ওসি শফিকুল ইসলাম ও পরিদর্শক মতিউর রহমানের সহযোগিতায় শাহ আলী থানায় ৯(৩)২৫ নং মামলা রুজু হয়। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, আসামিরা তাদের মামলার আসামিদের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে হলফনামা তৈরি করান এবং চার্জশিট থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য অর্থ গ্রহণ করেন।