হাইকোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে ইসলামী ব্যাংক কর্মীদের জন্য ‘বিশেষ দক্ষতা মূল্যায়ন’ পরীক্ষা আয়োজন করছে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর এই পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে ২২ সেপ্টেম্বর ব্যাংকের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরীক্ষা শনিবার বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় ৫ হাজার ৫০০ কর্মীর নামের তালিকাও সংযুক্ত করা হয়েছে। তাদের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কর্মীদের বলা হয়েছে, এইচআরএম সিস্টেম থেকে কর্মী আইডি ব্যবহার করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন সবাই পরীক্ষায় উপস্থিত থাকে। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেছেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা ড. এম কামাল উদ্দিন জাসিম।
এর আগে গত ২৭ আগস্ট বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী ফয়জুল হকের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দিয়েছিলেন, ইসলামী ব্যাংককে পরিকল্পিত মূল্যায়ন বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি যোগ্য কর্মকর্তাদের জন্য সুপরিকল্পিত পদোন্নতি পরীক্ষা আয়োজন করতে হবে। আদালত আরও জানতে চেয়েছিলেন কেন এই মূল্যায়ন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না।
কয়েকজন কর্মকর্তার করা রিটে এই মূল্যায়নকে ‘হাস্যকর প্রক্রিয়া’ বলা হয়েছিল। তাদের অভিযোগ ছিল, অভিজ্ঞ কর্মীদের পাশ কাটানোর জন্যই এই পরীক্ষা আয়োজন করা হচ্ছে। রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল দীর্ঘদিন চাকরিতে থাকা কর্মকর্তাদের অধিকার রক্ষার জন্য। তবে ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে ব্যবস্থাপকদের কর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে, যা আদালতের নির্দেশনার পরিপন্থী।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, কোনো ব্যাংক যদি হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে, তার দায়ভার ব্যাংককেই নিতে হবে। তিনি বলেন, আদালত কোনো প্রক্রিয়া স্থগিত রাখলে তা উপেক্ষা করা আদালত অবমাননার শামিল। ইসলামী ব্যাংক যদি এমনটি করে থাকে, বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যবস্থা নেবে। ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুক খানের সঙ্গে ফোন ও বার্তার মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।