বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আগামী নির্বাচনকে কোনো আইনি বাধা নেই। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের একটি পূর্ববর্তী আদেশ স্থগিত করেছেন, যা বিসিবি সভাপতিমণ্ডলীর পক্ষ থেকে আসা চিঠি কার্যকর হওয়া বন্ধ করেছিল। ফলে আগামী ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিসিবি নির্বাচনে নির্বাচন প্রক্রিয়া অবাধে চলার পথ সুগম হলো।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এই স্থগিতাদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ ও ব্যারিস্টার অনীক আর হক। বিসিবির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান, এবং রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট জেলা ও বিভাগের এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর চেয়ে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের চিঠির কার্যক্রম স্থগিত করে। সেই আদেশ স্থগিত রাখার জন্য আজকের দিনটি ধার্য করা হয়েছিল পরবর্তী শুনানির জন্য।
চিঠিটি ১৮ সেপ্টেম্বর বিসিবির জেলা ও বিভাগীয় এডহক কমিটিকে পাঠানো হয়েছিল। এতে বলা হয়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অনুমোদিত বিসিবি গঠনতন্ত্র (২০২৪ সালে সংশোধিত) অনুযায়ী সাধারণ পরিষদ গঠন ও পরিচালনার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। চিঠিতে জানানো হয়, বিভিন্ন জেলা ও বিভাগের ক্রীড়া সংস্থার ‘কাউন্সিলর’-দের মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর রেজিস্ট্রার্ড ডাক এবং ২ সেপ্টেম্বর কুরিয়ারযোগে এই মনোনয়ন ফরম এবং গঠনতন্ত্রের কপি পাঠানো হয়েছিল।
পরবর্তীতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগও ১১ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশ দেয়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অনুমোদিত বিসিবি গঠনতন্ত্রের সংশোধিত অনুচ্ছেদ ৯.১ (ক) ও (খ) অনুসারে কাউন্সিলর মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে।
আইনজীবীরা বলছেন, আপিল বিভাগের এই আদেশের ফলে নির্বাচনে কোন ধরনের বিধিনিষেধ থাকবে না, এবং বিসিবি নির্বাচনের রাস্তা এখন পুরোপুরি পরিষ্কার।