গাজীপুরের টঙ্গীর সাবেক সাব-রেজিস্ট্রার মো. নুরুল আমীন তালুকদার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের দুর্নীতি ও সম্পদ গোপনের প্রমাণ মিলেছে। তাদের পরিবারের ১১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ এবং প্রায় ৩২ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য হাতে এসেছে। এ ঘটনায় মো. নুরুল আমীন তালুকদার, তার স্ত্রী নুরুন্নাহার খানম এবং কন্যা জিনাত তালুকদারের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল (মঙ্গলবার) টাঙ্গাইল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো দায়ের করা হয়। সংস্থাটির উপপরিচালক মো. আক্তারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নুরুল আমীন তালুকদার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে মোট এক কোটি ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৫৪৭ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন। সরকারি দায়িত্ব পালনের সময় তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৪১ লাখ ৪৩ হাজার ৫৮৫ টাকার আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে নিজের দখলে রাখেন।
তার স্ত্রী নুরুন্নাহার খানমও সম্পদ বিবরণীতে ৫ কোটি ১৭ লাখ ৪৮ হাজার ৩৪৯ টাকার তথ্য গোপন ও মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। এই অর্থ তার স্বামী নুরুল আমীন তালুকদারের অবৈধ উপার্জিত অর্থ বলে অভিযোগ। তাদের কন্যা জিনাত তালুকদারের বিরুদ্ধে এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আর্থিক লেনদেনের বিচারে নুরুন্নাহার খানমের নামে ২৩টি ব্যাংক হিসাব থেকে প্রায় ৩০ কোটি টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন পাওয়া গেছে। জিনাত তালুকদারের নামে ৫টি ব্যাংক হিসাব থেকে প্রায় এক কোটি ৭৪ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন ধরা পড়ে। তিন মামলায় নুরুল আমীন তালুকদারকে আসামি করা হয়েছে।
মামলাগুলো দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা তৎসহ দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে।

