আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব কার্যক্রম স্থগিত করার জন্য রিট দায়ের করা হয়েছে। আজ বুধবার নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম হাইকোর্টে এই রিট আবেদন করেন।
রিট আবেদনে মূলত দুটি বিষয় উত্থাপন করা হয়েছে। প্রথমত, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার পরিবর্তে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে আদালতের রুল জারির আবেদন করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, রুল শুনানি না হওয়া পর্যন্ত আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব কার্যক্রম স্থগিত রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিবাদী করা হয়েছে। আইনজীবীর কথায়, আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে এই রিট আবেদনটির শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এতে নির্বাচন সংক্রান্ত প্রস্তুতি, তফসিল ঘোষণা এবং প্রশাসনিক দায়িত্ব বিতরণের বৈধতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আশা করা হচ্ছে।
দু’দিন আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, “আমরা মোটামুটি সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। নির্বাচনের পরিবেশ শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং স্বচ্ছ রাখতে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রিটের বিষয়টি নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের মধ্যে দায়িত্ব বিতরণ ও নির্বাচন পরিচালনার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক স্তরে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বের সাথে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের যুক্ত করার ক্ষেত্রে সংবিধান ও নির্বাচনী আইন মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। তারা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে।
এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে, নির্বাচনের সব কার্যক্রম সচল রাখার জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন। রিটের শুনানি হওয়ার পরই আদালত নির্বাচন স্থগিত রাখার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে। এই রিটটি দেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও ভোটারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি, দায়িত্ব ভাগাভাগি এবং নির্বাচন পরিচালনার স্বচ্ছতা নিয়ে নতুন আলোচনার সূচনা করেছে।

