ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট এলাকায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত এক আসামিকে ধরতে গিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ অভিযোগ করেছে, আসামির পরিবারের সদস্য এবং সহযোগীরা তাঁদের ওপর হামলা চালান।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি রাব্বী হাসান ওরফে বাপী (৩০), যিনি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি। হামলার শিকার দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফাহিম ফয়সাল তরফদার এবং সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কর্ণ কুমার হালদার।
ঘটনার বর্ণনায় জানা যায়, ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার তিন সদস্যের একটি দল আসামি রাব্বীকে গ্রেপ্তার করতে গোয়ালচামট মহল্লার খোদাবক্স রোডে তাঁর বাসায় যায়। দলে ছিলেন এসআই ফাহিম ফয়সাল এবং দুই এএসআই কর্ণ কুমার ও সেলিমুজ্জামান। তাঁরা রাব্বীকে আটক করতে সক্ষম হলেও আসামিকে থানায় নেওয়ার পথে বাধার মুখে পড়েন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পুলিশ রাব্বীকে নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার পর তাঁর প্রতিবেশী শেখ রুস্তম (৩০) এসে এসআই ফাহিম ফয়সালের বাঁ চোখে আঘাত করেন। এতে তাঁর চোখে চোট লাগে। একই সময় রাব্বী হাসান নিজেই এএসআই কর্ণ কুমারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন, ফলে তিনিও আহত হন। আহত দুই কর্মকর্তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, “রাব্বী হাসানকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়েছে। তাঁর সহযোগী শেখ রুস্তমকেও আটক করা হয়েছে। সরকারি কাজে বাধা প্রদান এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে রাব্বী ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে একটি নতুন মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।”
পুলিশের এই অভিযানের সময় স্থানীয়দের অনেকেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তবে পুলিশ দাবি করেছে, এটি একটি পরিকল্পিত হামলা ছিল। রাব্বী ও তাঁর সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকাটিতে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত।
এ ঘটনার পর শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। থানার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

