পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স পিএলসি নিয়মবিরোধীভাবে প্রায় ৯ কোটি টাকা ‘অবৈধ’ ব্যয় করেছে। অফিসভাড়া, বেতন-ভাতা এবং নতুন বিমা পণ্যের জন্য সরকারি অনুমোদিত সীমার চেয়ে বেশি অর্থ ব্যবহার করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছে কোম্পানি।
এই অনিয়মের বিষয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)-কে চিঠি পাঠিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে আইডিআরএ নিয়ম ভঙ্গের দায়ে কোম্পানিটিকে জরিমানা করেছে।
চার্টার্ড লাইফের ভারপ্রাপ্ত সিইও মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ বলেন, ‘গত বছরের ব্যবস্থাপনা ব্যয় কিছুটা বেশি হয়েছে, তবে তা ৯ কোটি হবে না। আমরা জরিমানা মওকুফের জন্য আবেদন করব।’
আইডিআরএ জানিয়েছে, ২০২৪ সালের নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী চার্টার্ড লাইফ বিমা আইন ২০১০-এর ধারা ৬২ লঙ্ঘন করে ৮ কোটি ৭৮ লাখ ১৪ হাজার ৭৮০ টাকা অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছে। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ এই চিঠিতে সীমার অতিরিক্ত ব্যয়ের বিষয়টি স্বীকার করেছে।
আইডিআরএ নিয়ম ভঙ্গের দায়ে বিমা আইন ২০১০-এর ধারা ১৩০ অনুযায়ী কোম্পানিকে ৫ লাখ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় থেকে বিরত থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
কোম্পানির পক্ষ থেকে আগে জানানো হয়েছিল, ২০২৪ সালে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় ৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা হয়েছে।
আইডিআরএর পরামর্শক (মিডিয়া ও যোগাযোগ) সাইফুন্নাহার সুমি বলেন, ‘নিয়মবিরোধী ব্যয়ের কারণে কোম্পানিকে জরিমানা করা হয়েছে। টাকা আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জমা দিতে হবে।’
ভারপ্রাপ্ত সিইও এমদাদ উল্লাহ বলেন, ‘গত বছরের প্রথম চার মাস ব্যবসা হয়নি। এরপর গণ-অভ্যুত্থান এবং বছরের শেষে ব্যাংকের নগদ সংকটের কারণে ব্যবসা কমেছে। বিপরীতে অফিসভাড়া, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য খরচ বেশি হয়েছে। এখন ব্যবসা রিকভারি হচ্ছে। আশা করি গত বছরের ক্ষতি এ বছর পূরণ করতে পারব।’
চার্টার্ড লাইফ ২০২২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৫১.৯০ টাকায়, যার ফলে বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৯৪ কোটি টাকা।

