Close Menu
Citizens VoiceCitizens Voice
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp Telegram
    Citizens VoiceCitizens Voice Fri, Jun 20, 2025
    • প্রথমপাতা
    • অর্থনীতি
    • বাংলাদেশ
    • আন্তর্জাতিক
    • আইন
    • অপরাধ
    • খেলা
    • প্রযুক্তি
    • বিনোদন
    • মতামত
    • সাহিত্য
    • ভিডিও
    Citizens VoiceCitizens Voice
    Home » আর্থিক খাতের সুশাসন ও স্বচ্ছতার ঘাটতি পূরণে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার তাগিদ
    অর্থনীতি

    আর্থিক খাতের সুশাসন ও স্বচ্ছতার ঘাটতি পূরণে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার তাগিদ

    এফ. আর. ইমরানNovember 17, 2024Updated:November 17, 2024
    Facebook Twitter Email Telegram WhatsApp Copy Link
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Telegram WhatsApp Email Copy Link

    আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে অন্তর্বর্তী সরকার স্বল্পমেয়াদি সংস্কারে জোর দিয়েছে। আর মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের একটা রাস্তা তৈরি করে যাবে। পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার এসে তা শেষ করবে। রাজনৈতিক সরকার চাইলেও সংস্কার একেবারে বাদ দিতে পারবে না। ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে বাদ দিতে গেলে জনগণের চাপে পড়বে বলে জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

    উপদেষ্টা আরো বলেন, উন্নয়ন কৌশল ভুল ছিল। দেখানো হয়েছে রিজার্ভ বাড়ছে, রপ্তানি বাড়ছে, জিডিপি প্রবৃদ্ধি হচ্ছে এবং মূল্যস্ফীতি কম রয়েছে। তবে প্রবৃদ্ধি সবাইকে নিয়ে হয়েছে কিনা দেখা হয়নি। দেখার দায়িত্ব ছিল নীতি প্রণেতাদের। অন্যদিকে, আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা নেই। তার পরও যেটুকু আছে, ভয়ের কিছু নেই।

    তিনি বলেন, সংস্কার চাইলে কিছু ব্যথা নিতে হবে। সংস্কারের জন্য আর্থিক স্থিতিশীলতা জরুরি। অবশ্য এরই মধ্যে স্থিতিশীলতা কিছুটা এসেছে। ব্যাংক খাত, রাজস্ব ব্যবস্থাপনা, শেয়ারবাজারে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরতে শুরু করেছে। তবে শেয়ারবাজার নিয়ে অনেকে রাস্তায় নেমেছেন। আইসিবিকে এরই মধ্যে ৩ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আবার সংকটে থাকা কিছু ব্যাংককে এক মাসে ১৮ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

    দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ে সবাই অস্থির হয়ে যাচ্ছেন। সরবরাহ ব্যবস্থায় কিছু ত্রুটি আছে। বগুড়া থেকে কারওয়ান বাজার আসতে ১৭ জায়গায় টাকা দিতে হয়। কিছু জায়গায় মধ্যস্বত্বভোগী দরকার আছে। তবে কেউ কেউ আছে, কিছু না করেই শুধু ফুটপাতে দাঁড়িয়ে চাঁদাবাজি করছে। যে কারণে তিনি চেয়েছিলেন কিছু ডিলার পরিবর্তন করতে। তবে পরিবর্তন করলে আরেক গ্রুপ এসে নাকি চাঁদাবাজি শুরু করবে। রাজনীতিতে সমঝোতা করা কঠিন। তবে চাঁদাবাজিতে সমঝোতা করা খুবই সহজ।

    তিনি আরও বলেন, এখন রিজার্ভ থেকে এক টাকাও বিক্রি না করে বাংলাদেশ ব্যাংক আগের বকেয়া পরিশোধ করছে। আশার বিষয় হলো, সরকারের ওপর দেশি-বিদেশি সবাই আস্থা রাখছে। আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক অর্থ দিতে রাজি আছে। আরও একটি সংস্থা বড় অঙ্কের টাকা দিতে চেয়েছিল। তবে সুদহার বেশি হওয়ায় সরকার রাজি হয়নি।

    সালেহউদ্দন বলেন, আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, ক্ষমতা নয়। প্রথমত দেশটা যেভাবে চলছিল, সেটি ঠিক করা। মেরামত করতে সময় লাগবে। আমি তিন সরকারের সময়ে গভর্নরের দায়িত্ব পালন শেষে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক ছেড়েছি। তখন সবাই ফেরেশতা ছিল না। অনেক দাবি ছিল। দিচ্ছি, দেব করে সময় পার করেছি। ওই সময়ে খেলাপি ঋণ ছিল ১৮ হাজার কোটি টাকা। এখন তা আড়াই লাখ কোটি টাকা।

    ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, তথ্য-উপাত্তের রাজনীতিকীকরণ করা হয়েছে। উন্নয়নের যে বয়ান এতদিন শোনানো হয়েছে, তার ব্যবচ্ছেদ করতে না পারলে সামনে এগোনো সম্ভব নয়। কোন পরিস্থিতিতে এই সরকার দায়িত্ব নিয়েছে সবার আগে বুঝতে হবে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির যে তথ্য দেওয়া হয়েছিল, তা ছিল ভুয়া। বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ-জিডিপি অনুপাত ১০ বছর ধরে ২৩ শতাংশ। তাহলে এত প্রবৃদ্ধি হলো কীভাবে। এত প্রবৃদ্ধি হলো অথচ কর-জিডিপি অনুপাত বাড়েনি। যেটুকু টাকাপয়সা ছিল তা দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখানোর জন্য কিছু খরচ করা হয়েছে। সেখানে অসামঞ্জস্য তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক অভ্যন্তরীণ তথ্য-উপাত্ত এবং পরিদর্শন দুইভাবে ব্যাংক খাত তদারক করে। জানি না যিনি এসব ধ্বংস করেছেন তিনি এখন কোথায় আছেন। তিনি দিনে বলেছেন আইএমএফের শর্ত মানছেন, রাতে টাকা ছাপিয়েছেন। দেখিয়েছেন রিজার্ভ বাড়ছে, সেই হিসাবে গন্ডগোল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকই সবচেয়ে সংকট সৃষ্টি করেছে। এখন পরিষ্কার হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লোকজন অলিগার্কদের কাছ থেকে মাসোহারা নিয়েছে।

    ড. দেবপ্রিয় আরও বলেন, যাদের দেখভালের দায়িত্ব তারা যদি দেখভাল না করে তাহলে চলবে কীভাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে নতুন ব্যাংকের দরকার নেই। অথচ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে যোগ্যতা নেই, এমন ব্যক্তিকে ব্যাংক দেওয়া হলো। বিচার বিভাগের প্রতি সম্মান রেখে বলতে চাই, তিনজন এক হয়ে দেশটাকে আজকের এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে না পারলে সংস্কারের পথে এগোনো যাবে না। এই স্থিতিশীলতা থাকতে হবে ডলারের দরে, সুদহারে ও মূল্যস্ফীতিতে। না হলে সংস্কারে মানুষ স্বস্তি পাবে না। আবার ১৫ বছরের সংস্কার যদি ১৫ মাসে করতে না পারা যায়, তাহলে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হবে। অবশ্য এর মধ্যে যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা ঠিক পথেই আছে।

    ফারজানা লালারুখ বলেন, শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন এবং কিছু মানুষকে সুবিধা দিতে কাজ করেছে। সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ব্যাপক ঘাটতি তৈরি করা হয়েছে। বাজারকে আস্থাহীনতার এমন এক জায়গায় নেওয়া হয়েছে, সংস্কার ছাড়া আস্থা ফেরানো সম্ভব নয়।

    গত ১৫ বছরে আর্থিক খাতে ব্যাপক অনৈতিক চর্চা হয়েছে। ফ্যাসিবাদের সময়ে সুশাসন ঘাটতি ও আইনের শাসনের ব্যাপক ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এ অবস্থার উন্নয়নের জন্য সংস্থার অত্যন্ত জরুরি বলে জানায়,
    সেলিম আর এফ হোসেন।

    গতকাল আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার বিষয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত নীতি সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ ফরহাত আনোয়ারের সভাপতিত্বে আলোচনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ও অর্থনীতির ওপর শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি কমিশনার ফারজানা লালারুখ এবং ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার কক্ষে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

    Share. Facebook Twitter LinkedIn Email Telegram WhatsApp Copy Link

    সম্পর্কিত সংবাদ

    অর্থনীতি

    বেকারত্ব নয়, কর্মসংস্থানের স্বপ্ন খুঁজি

    June 19, 2025
    অর্থনীতি

    ব্যাংক খাত ও জলবায়ু উন্নয়নে এডিবির ৯০ কোটি ডলার সহায়তা

    June 19, 2025
    অর্থনীতি

    ১৬ কোটি টাকার লেনদেন ব্লক মার্কেটে

    June 19, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সর্বাধিক পঠিত

    সব ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী নয়

    মতামত January 13, 2025

    বরিশালের উন্নয়ন বঞ্চনা: শিল্প, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে নেই অগ্রগতি

    মতামত April 22, 2025

    দেশের অর্থনৈতিক স্থবিরতা কি কেটে উঠা সম্ভব?

    অর্থনীতি May 29, 2025

    বাজেটের স্বাধীনতা: বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অন্যতম নিয়ামক

    আইন আদালত June 1, 2025
    সংযুক্ত থাকুন
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • YouTube
    • Telegram

    EMAIL US

    contact@citizensvoicebd.com

    FOLLOW US

    Facebook YouTube X (Twitter) LinkedIn
    • About Us
    • Contact Us
    • Privacy Policy
    • Comment Policy
    • About Us
    • Contact Us
    • Privacy Policy
    • Comment Policy

    WhatsAppp

    01339-517418

    Copyright © 2024 Citizens Voice All rights reserved

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.