টেকসই উন্নয়নের পথে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে একটি অনুকরণীয় নাম হয়ে উঠছে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। টানা তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘সাসটেইনেবিলিটি রেটিং-২০২৪’-এ সম্মাননা পাওয়ায় সেটি আবারও প্রমাণিত হলো।
এই স্বীকৃতি শুধু একটি ব্যাংকের অর্জন নয়—এটি অর্থনীতিকে পরিবেশবান্ধব, সামাজিকভাবে দায়িত্বশীল এবং দীর্ঘমেয়াদে সহনশীল করে তোলার প্রতিশ্রুতির বাস্তব উদাহরণ।
প্রাইম ব্যাংকের এই অর্জন এসেছে তাদের কয়েকটি নির্দিষ্ট ও দূরদর্শী উদ্যোগের কারণে। ব্যাংকটি অনেক আগেই বুঝেছে, শুধু মুনাফার পেছনে ছোটার সময় ফুরিয়েছে। এখন সময় পরিবেশ, সমাজ এবং সুশাসনের (ESG) সঙ্গে সমন্বয় করে টেকসই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার।
এ কারণেই তারা গ্রিন রিফাইন্যান্সিং, টেকসই কোর ব্যাংকিং অপারেশন এবং কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (CSR)-তে নিরবিচারে বিনিয়োগ করে আসছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২০ সালে ‘সাসটেইনেবিলিটি রেটিং’ চালু করে, যার উদ্দেশ্য ছিল দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে পরিবেশ ও সমাজবিষয়ক নীতিমালা বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধ করা।
এই রেটিং দেওয়া হয় ৫টি গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ডের ভিত্তিতে:
-
সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ইনডেক্স
-
কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (CSR) কার্যক্রম
-
গ্রিন প্রজেক্ট ফাইন্যান্সিং
-
কোর ব্যাংকিংয়ের টেকসইতা
-
ব্যাংকিং সেবার বিস্তৃতি ও অন্তর্ভুক্তিমূলকতা
এই সূচকগুলোতে ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম করেই প্রাইম ব্যাংক তাদের অবস্থান শক্ত করেছে।
ব্যাংক খাতকে আমরা সাধারণত দেখি অর্থ লেনদেন, ঋণ বিতরণ বা মুনাফা অর্জনের কেন্দ্রে। কিন্তু প্রাইম ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এখন দেখিয়ে দিচ্ছে, একটি ব্যাংক হতে পারে সামাজিক পরিবর্তনের শক্তি। তারা শুধু গ্রাহক নয়, পরিবেশ ও সমাজের প্রতিও সমানভাবে দায়বদ্ধ।
তাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি দেশের অন্যান্য ব্যাংকের জন্যও এক ধরনের বার্তা—বিনিয়োগের পাশাপাশি পরিবেশ ও সমাজে দায়বদ্ধতা থাকলেই ভবিষ্যৎ সত্যিকারে টেকসই হয়।