বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ গত বছর তুলনায় ৩০০ শতাংশ বেড়েছে। এই তথ্য জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন। তিনি বলেন, যৌথ অভিজ্ঞতা ও সহযোগিতা কাজে লাগালে দেশ আরও এগিয়ে যেতে পারবে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ এক্সিবিশন’ অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেন, “আমাদের দুর্বলতা চিহ্নিত করতে হবে। অভিজ্ঞতা বিনিময় করে এগোতে হবে। উৎপাদন ও প্যাকেজিংয়ে চীনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগালে অগ্রগতির সুযোগ অনেক।” তিনি আরও বলেন, “তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশ পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক হলেও সামগ্রিকভাবে আমরা এখনো অনেক ক্ষেত্রেই পিছিয়ে আছি।”
সড়ক অবকাঠামো ও পরিবহন সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়েও তিনি গুরুত্বারোপ করেছেন। বলেন, “প্রতি বছর দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় যে পরিমাণ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে, তা ভয়াবহ। সড়ক ও পরিবহন ব্যবস্থাকে উন্নত করতে আমাদের উন্নয়ন সহযোগী চীনের সহায়তা প্রয়োজন।” মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রেসিপ্রোকল ট্যারিফ ইস্যু নিয়েও তিনি আলোকপাত করেন। জানান, আগামী রোববার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধি দল ট্যারিফ নিয়ে আলোচনা করতে আসছে। এর মধ্যে কাঠামোগত রূপ কীভাবে দেওয়া যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হবে।
চীনা দূতাবাসের আয়োজিত প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের ৮টি এবং চীনের ৩২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। অবকাঠামো, প্রযুক্তি, টেলিকম, স্বাস্থ্য, কৃষি, শক্তি, পরিবহন ও লজিস্টিকসসহ বিভিন্ন খাতের প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে। প্রদর্শনীটি ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।