বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের জন্য আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা ২ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে। নতুন সিদ্ধান্তে আবেদনকারীরা আরও সময় নিয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাবনা তৈরি ও প্রয়োজনীয় দলিলাদি সংগ্রহ করতে পারবেন।
আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পূর্বে ঘোষিত অন্যান্য শর্তাবলী অপরিবর্তিত থাকবে। এর আগে ২৬ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের আবেদনপত্র আহ্বান করেছিল। সেই সময় আবেদন জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর।
ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের জন্য ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, প্রযুক্তিনির্ভর আর্থিক খাতের বৈশ্বিক পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি, আর্থিক সেবার পরিধি বিস্তৃত করা এবং ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (সিএমএসই) অর্থায়ন সহজ করা এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য। এছাড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে ঋণ প্রবাহ সহজ করা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করাও উদ্দেশ্য।
আবেদনকারীদের নির্ধারিত ফরম পূরণের পাশাপাশি ৫ লাখ টাকা অফেরতযোগ্য ফি জমা দিতে হবে। এটি ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুকূলে প্রদান করতে হবে। আবেদনপত্র সরাসরি জমা দেয়ার পাশাপাশি ই-মেইল মারফত সব নথি পাঠানোও বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুযোগ কাজে লাগিয়ে আর্থিক খাতে কার্যকারিতা বাড়ানোই ডিজিটাল ব্যাংকের লক্ষ্য। এজন্য আলাদা শাখা, উপশাখা বা এটিএম বুথের প্রয়োজন হবে না। সব সেবা অ্যাপ-নির্ভরভাবে মোবাইল বা অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে দেয়া হবে।
এর আগে ১৪ জুন ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংকের নীতিমালা প্রণয়ন করেছিল। তখন ন্যূনতম মূলধন ছিল ১২৫ কোটি টাকা। সাম্প্রতিক সংশোধনীতে এটি ৩০০ কোটি টাকায় বৃদ্ধি করা হয়েছে। তুলনায় প্রচলিত ব্যাংকের জন্য ন্যূনতম মূলধন ৫০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানিয়েছে, ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স ১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী প্রদান করা হবে। পেমেন্ট সেবা ২০১৪ সালের বাংলাদেশ পেমেন্ট অ্যান্ড সেটলমেন্ট সিস্টেম রেগুলেশন অনুসারে পরিচালিত হবে।