চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া প্রার্থীদের প্রায় অর্ধেকই প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন। মোট ৭১ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩৪ জনকে অযোগ্য ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
এর মধ্যে ২০ জন ঋণখেলাপি বা ভ্যাট রিটার্ন জমা না দেওয়ার কারণে অযোগ্য হন। বাকি প্রার্থীরা কাগজপত্রের ঘাটতির কারণে বাদ পড়েন। এদের মধ্যে রয়েছে পুলিশের ক্লিয়ারেন্স সনদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ সংক্রান্ত সিআইবি রিপোর্ট না দেওয়া।
বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমজাদ হোসেন চৌধুরীও অযোগ্যদের তালিকায় আছেন। তার বিরুদ্ধে সিআইবি রিপোর্টে অনিয়ম ধরা পড়ে এবং তিনি মূল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ জমা দিতে ব্যর্থ হন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল গত ২১ সেপ্টেম্বর। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এতে দেখা যায়, প্রায় অর্ধেক প্রার্থী প্রাথমিক ধাপেই নির্বাচনের বাইরে চলে গেছেন।
প্রার্থীরা আগামীকাল ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। আপিল নিষ্পত্তির পর ৫ অক্টোবর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১ নভেম্বর চট্টগ্রামের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে। নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারপারসন মনোয়ারা বেগম বলেন, “আপিল প্রক্রিয়া উন্মুক্ত। কোনো শ্রেণির কোনো আসনে প্রার্থী না থাকলেও নির্বাচন বাকি পদগুলোতে হবে।”
এইবার প্রার্থীদের জন্য বিশেষ কিছু শর্ত ছিল। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে নোটারি করা নথি জমা দিতে হয়েছে, যাতে কর, ভ্যাট ও শুল্ক সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতা পূরণের প্রমাণ থাকে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্টে ঋণখেলাপি না থাকার সনদও দিতে হয়েছে। গত পাঁচ বছরে কোনো ফৌজদারি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত প্রার্থীরাও প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে বাদ পড়েছেন।
সিসিসিআই-এর এই নির্বাচন আয়োজন করা হচ্ছে ট্রেড অর্গানাইজেশন অর্ডিন্যান্স ও চেম্বারের নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী। নির্বাচনে ২৪ পরিচালক পদে ভোট হবে। এর মধ্যে ১২টি সাধারণ ক্যাটাগরি, ৬টি অ্যাসোসিয়েশন, আর ট্রেড গ্রুপ ও টাউন অ্যাসোসিয়েশনের জন্য ৩টি করে আসন রয়েছে।
মোট ৭১ প্রার্থীর মধ্যে সাধারণ ক্যাটাগরিতে ৪৭ জন, অ্যাসোসিয়েশন থেকে ১৭ জন, আর ট্রেড গ্রুপ ও টাউন অ্যাসোসিয়েশন থেকে ৩ জন করে মনোনয়ন দেন। যাচাই-বাছাই শেষে সাধারণ ক্যাটাগরিতে ২৫ জন, অ্যাসোসিয়েশনে ৯ জন এবং ট্রেড গ্রুপের ৩ জনকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৬ হাজার ৭৮০ জন। এর মধ্যে সাধারণ সদস্য ৪ হাজার ১৬ জন এবং সহযোগী সদস্য ২ হাজার ৭৬৪ জন।