দেশের জ্বালানি সংকট নিরসনে দেশীয় গ্যাস উত্তোলন বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে পেট্রোবাংলা। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, চলমান ১১টি গ্যাস কূপের খনন কার্যক্রম শেষ হলে দৈনিক প্রায় ১৪৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
গতকাল বুধবার (১২ নভেম্বর) পেট্রোবাংলার উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তারিকুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৫০টি এবং ২০২৬-২৮ মেয়াদে আরও ১০০টি কূপ খনন ও ওয়ার্কওভার করার পরিকল্পনা নিয়েছে পেট্রোবাংলা। এতে গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়ে জ্বালানির চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা সম্ভব হবে।
এরই মধ্যে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) জামালপুর-১ অনুসন্ধান কূপের মাধ্যমে দেশের প্রথমবারের মতো ব্লক-৮ এ বাণিজ্যিক গ্যাস আবিষ্কার করেছে। গ্যাসের মজুদ ও বিস্তৃতি নির্ণয়ে আরও দুটি কূপ (একটি উন্নয়ন ও একটি অনুসন্ধান) খননের পরিকল্পনা রয়েছে, যার জন্য ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) প্রণয়নের কাজ চলছে।
এছাড়া, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) এর আওতাধীন হরিপুর গ্যাস ফিল্ডে সিলেট-১০ কূপ খননের সময় জ্বালানি তেলের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সেখানে বাণিজ্যিক উত্তোলনের সম্ভাবনা যাচাইয়ে সিলেট-১২ তেল কূপ খনন কার্যক্রম চলছে।
অন্যদিকে, দেশের বৃহত্তম দ্বীপ ভোলা এলাকায় গ্যাসের মজুদ ও বিস্তৃতি নির্ণয়ের জন্য ১৯টি নতুন কূপ খননের কাজ চলছে। এই গ্যাস ভবিষ্যতে ভোলায় গড়ে উঠতে যাওয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাবে সরবরাহ করা হবে, যা দক্ষিণাঞ্চলের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে।
এছাড়া, তিতাস ও বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ডে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল) এবং শ্রীকাইল ও মোবারকপুর স্ট্রাকচারে বাপেক্স এর উদ্যোগে মোট চারটি গভীর কূপ খনন চলছে, যার লক্ষ্য ভূগর্ভস্থ গভীর স্তরে গ্যাসের মজুদ মূল্যায়ন করা।
একই সঙ্গে বাপেক্স, বিজিএফসিএল ও এসজিএফএল দেশের বিভিন্ন ব্লকে নতুন অনুসন্ধানযোগ্য কূপের অবস্থান নির্ধারণে সাইসমিক ডাটা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।

