হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের পর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (সিপিএ) আবারও বাড়তি শুল্কহার কার্যকর করেছে। কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্থগিতাদেশ এখন আর বহাল নেই। ফলে সেপ্টেম্বরের সংবিধিবদ্ধ আদেশে নির্ধারিত বর্ধিত শুল্ক কাঠামো বন্দর কার্যক্রমের সব খাতে পুনর্বহাল হলো।
গত রোববার সিপিএর প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার দপ্তর থেকে জারি করা সার্কুলারে বলা হয়, পণ্য, জাহাজ ও সংশ্লিষ্ট সেবার সব ধরনের বন্দর চার্জ এখন থেকে ২৯ অক্টোবর ২০২৫ তারিখের এসআরও নং ৪৩০-আইন/২০২৫ অনুযায়ী আদায় করা হবে। ২৫ নভেম্বর ২০২৫ হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ বর্ধিত শুল্ক বহালের বিরুদ্ধে করা এক আপিলের নিষ্পত্তি করে। এর ফলে আগের ৩০ দিনের স্থগিতাদেশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে উঠে যায়।
এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ এসআরও নং ৩৬৪-আইন/২০২৫ এর মাধ্যমে নতুন শুল্কহার ঘোষণা করা হয় এবং পরদিন থেকে তা কার্যকর করার কথা ছিল। কিন্তু অংশীজনদের তীব্র আপত্তির পর সিপিএ এক মাস সময় বাড়ায়। পরে ১৫ অক্টোবর নতুন হার কার্যকর হয়। এরপর একটি রিট আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্ট বেঞ্চ ৯ নভেম্বর শুল্কহার এক মাসের জন্য স্থগিত করে। সিপিএর সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের ফলে সেপ্টেম্বরের সংবিধিবদ্ধ আদেশে নির্ধারিত বর্ধিত চার্জ এখন আবার সব খাতে প্রয়োগ করা যাবে।
শিপিং এজেন্ট ও আমদানিকারকরা এর আগে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিলেন, বাড়তি চার্জ লজিস্টিক ব্যয় বাড়াবে এবং আমদানি পণ্যে মূল্যস্ফীতির চাপ তৈরি করতে পারে। তবে নতুন সিদ্ধান্তের পরও সংশ্লিষ্ট শিল্পসংগঠনগুলোর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। দেশের মোট সমুদ্রবাণিজ্যের ৯২ শতাংশের বেশি পণ্য পরিবাহিত হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। বাড়তি শুল্কহার সিপিএর রাজস্ব বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

