আজ বুধবার হলিউডের সুপরিচিত অভিনেত্রী, নির্মাতা ও প্রযোজক জোডি ফস্টারের জন্মদিন। চার দশকের বেশি সময় ধরে হলিউডে তিনি নিজের প্রভাবশালী অবস্থান ধরে রেখেছেন। তাঁর প্রতিভা তাঁকে বিশ্বের সম্মানিত শিল্পীর তালিকায় স্থায়ী করেছে। জোডি ফস্টার ১৯৬২ সালের ১৯ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে জন্মগ্রহণ করেন।
শৈশব ছিল সহজ নয়। মা-বাবার বিচ্ছেদের পর মায়ের কাছে বড় হয়ে ওঠেন তিনি। মায়ের প্রেরণায় মাত্র ৩ বছর বয়সে অভিনয়ের জগতে পদার্পণ করেন। বিজ্ঞাপনচিত্রে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শুরু হয় তাঁর ক্যারিয়ার। ১২ বছর বয়সে মার্টিন স্করসেজির ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রথম আলোচনায় আসেন। পরবর্তী চার দশকে তিনি জটিল ও সাহসী চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে জোডি ফস্টার দুবার অস্কার জিতেছেন—১৯৯১ সালে ‘দ্য সাইলেন্স অব দ্য ল্যাম্বস’ এবং পরে ‘দ্য অ্যাকিউজড’-এর জন্য। ‘দ্য সাইলেন্স অব দ্য ল্যাম্বস’-এর ক্ল্যারিস স্টার্লিং চরিত্র তাঁকে স্থায়ী খ্যাতি দিয়েছে।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি সমালোচনার মধ্যেও ছিলেন। ২০০৮ সালে সিডনি বার্নার্ডের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্কের ইতি টানেন। ২০১৩ সালে গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে এই বিচ্ছেদের বিষয় জনসমক্ষে জানান। পরবর্তী সময়ে তিনি সমলিঙ্গের একজনকে বিয়ে করে আবারও শিরোনামে আসেন।
জোডি ফস্টার হলিউডের সর্বাধিক পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত নারী শিল্পীদের একজন। ১৯৮৪ সালে ‘দ্য হোটেল নিউ হ্যাম্পশায়ার’ সিনেমার জন্য ৫ লাখ ডলার পারিশ্রমিক পান। ১০ বছরের ব্যবধানে তা ৫০ লাখ ডলারে উন্নীত হয় এবং পরবর্তী পাঁচ বছরে কোটি ডলারে পৌঁছে। ১৯৯৯ সালে ‘আন্না অ্যান্ড দ্য কিং’-এর জন্য তিনি দেড় কোটি টাকা পারিশ্রমিক পান।
৬২ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী মনে করেন, জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজের প্রতি সৎ থাকা। খ্যাতি বা অর্থ নয়, সৃজনশীলতার মাধ্যমে সুখ আসে।

