ছোট পর্দার অভিনেত্রী তানজিন তিশা সম্প্রতি ভারতীয় পরিচালক এম এন রাজের সিনেমা ‘ভালোবাসার মরশুম’ নিয়ে ছড়ানো গুজব ও ভুল তথ্যের বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুলেছেন। এক অফিসিয়াল বিবৃতির মাধ্যমে তিশা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রটনা।
তিশা বলেন, চুক্তিপত্র অনুযায়ী তার বিদেশ ভ্রমণ সংক্রান্ত যাবতীয় দায়িত্ব যেমন—ভিসা করানো, ফ্লাইটের টিকিট এবং সেখানে থাকা-খাওয়ার সকল ব্যয়—পরিচালক ও প্রযোজকের দায়িত্বে ছিল। কিন্তু পরিচালক ও প্রযোজনা সংস্থা ভিসা করাতে ব্যর্থ হন। তিশা নিজেও ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করেও ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেননি। যেহেতু চুক্তিপত্র অনুযায়ী ভিসার দায়িত্ব পরিচালকের, তাই এই ব্যর্থতার জন্য আইনত কোনো দায় তার নয়।
তিনি আরো জানান, দুই মাস ভিসার জন্য অপেক্ষার পরও সমস্যা সমাধান না হওয়ায় প্রযোজনা সংস্থা অন্য একজন অভিনেত্রীকে তার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য চুক্তিভুক্ত করেছে। ফলে বাধ্য হয়ে তিশা প্রজেক্ট থেকে সরে আসেন এবং পরে বাংলাদেশের অন্য একটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হন, যার শুটিং বর্তমানে চলছে।

তিশা বলেন, “একটি সিনেমা আমার পেশাগত সম্মানের জায়গা। পরিচালক ব্যর্থ হওয়ায় কাজ শিডিউল অনুযায়ী শুরু করতে পারেননি এবং নতুন একজনকে সেখানে চুক্তিভুক্ত করেছেন। তাই আমাকে বাধ্য হয়ে সরে আসতে হয়েছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “লাইন প্রোডিউসার শরিফ আমাকে একবার এক-তৃতীয়াংশ টাকা ফেরত দিতে বলছেন, আবার অন্যবার কিছু টাকা দিলেই হবে বলছেন। পাশাপাশি সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে আমার ক্যারিয়ারের ক্ষতি ও অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে, যা একটি অপচেষ্টা মাত্র।”
তিশা স্পষ্ট করেছেন, ‘আমার সাথে যে চুক্তিপত্র হয়েছে, সেখানে ডিরেক্টর ফল্টের কারণে কোন প্রবলেম হলে আমাকে টাকা ফেরত দিতে হবে এমন কোন ক্লজ নেই। আমি সর্বদা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একজন মানুষ, আইন-আদালতে যদি তারা প্রমাণ করতে পারে যে আমি টাকা ফেরত দিতে বাধ্য এবং আদালত এমন নির্দেশনা প্রদান করেন তাহলে আমি অবশ্যই তা মেনে নিবো এবং টাকা ফেরত দিবো।’
শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘যেসব সাংবাদিক ভাইয়ারা না জেনে কিংবা ভুল তথ্য জেনে আমার সাথে কথা না বলেই প্রচার করছেন এবং যেসব সাংবাদিক ভাইয়ারা আমার সত্যটা তুলে ধরার চেষ্টা করছেন সবার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, আপনারা সবটুকু জেনে সত্যটাই প্রকাশ করবেন- আমি এইটুকু আপনাদের কাছে আশা করতে পারি।’

