Close Menu
Citizens VoiceCitizens Voice
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp Telegram
    Citizens VoiceCitizens Voice Thu, Jul 17, 2025
    • প্রথমপাতা
    • অর্থনীতি
    • বাংলাদেশ
    • আন্তর্জাতিক
    • আইন
    • অপরাধ
    • খেলা
    • প্রযুক্তি
    • বিনোদন
    • মতামত
    • সাহিত্য
    • ভিডিও
    Citizens VoiceCitizens Voice
    Home » ‘পেলে’ যার খেলা দেখতে থেমে গিয়েছিলো যুদ্ধ
    খেলা

    ‘পেলে’ যার খেলা দেখতে থেমে গিয়েছিলো যুদ্ধ

    নাহিদSeptember 24, 2024Updated:October 18, 2024
    Facebook Twitter Email Telegram WhatsApp Copy Link
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Telegram WhatsApp Email Copy Link

    ফুটবল বিশ্বে পেলের নাম উচ্চারিত হলে, একাধারে ফুটবল এবং সাংস্কৃতিক প্রভাবের এক অনন্য মিশ্রণ ফুটে ওঠে। পেলে, যিনি আসল নাম এডসন আরান্তেস ডো নাসিমেন্টো, ১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবর ব্রাজিলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ট্রেস কোরাসে জন্মগ্রহণ করেন। তার জীবনের কাহিনী এবং ক্যারিয়ার ফুটবল ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছে, এবং তার খেলা দেখতে যুদ্ধ থেমে যাওয়ার ঘটনা তার মহান কীর্তির প্রমাণ রেখে গেছে ।

    পেলে ছোটবেলায় ফুটবল খেলার প্রতি প্রচণ্ড আকর্ষণ অনুভব করতেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে সান্তোস এফসি দলে যোগ দিয়ে তার পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেন। এই সময়েই তার অসাধারণ প্রতিভা নজরে আসে। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে, মাত্র ১৭ বছর বয়সে, পেলে ব্রাজিলের হয়ে খেলতে গিয়ে বিশ্ব ফুটবলে একটি নতুন যুগের সূচনা করেন। এই বিশ্বকাপেই তিনি তিনটি গোল করে ব্রাজিলকে প্রথম বিশ্বকাপ জয় এনে দেন, যা ফুটবল ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা।

    ১৯৬২ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন হলে পেলের সাফল্যের রেকর্ড আরও দৃঢ় হয়। যদিও তিনি এই বিশ্বকাপে ইনজুরির কারণে শেষ দিকে মাঠে ছিলেন না, তার প্রাথমিক অবদানের জন্য ব্রাজিল টুর্নামেন্ট জিতে। পরবর্তী বছরগুলোতে, ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ব্যর্থতার পর, পেলে আবার ১৯৭০ সালে বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপে তার নেতৃত্বে ব্রাজিল তার চতুর্থ বিশ্বকাপ জেতে, যা ফুটবল ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে স্বীকৃত।

    পেলের খেলার ইতিহাস অনন্য এবং বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। ক্যারিয়ারে, তিনি সান্তোস এবং নিউইয়র্ক কসমোস ক্লাবের হয়ে ১ হাজারেরও বেশি গোল করেছেন। ১৯৬৫ সালে সান্তোসের সাথে তার চুক্তির মেয়াদে, পেলে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগকে অনবরত চ্যালেঞ্জ জানানোর মাধ্যমে ক্লাবের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জয় নিশ্চিত করেছেন। ১৯৭৭ সালে নিউইয়র্ক কসমোসে যোগ দেওয়ার পর, পেলে আমেরিকান ফুটবলে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি যোগ করেন এবং দেশের ফুটবলে আগ্রহ বৃদ্ধি করেন।

    পেলের অর্জনের তালিকা বিস্ময়কর। তার তিনটি বিশ্বকাপ জয়, চারটি কোপা লিবার্টাডোরেস ট্রফি, এবং সান্তোসে তার অভূতপূর্ব পারফরম্যান্স ফুটবল ইতিহাসে তাকে বিশেষভাবে স্বীকৃত করেছে। পেলের ফুটবল খেলার প্রভাব শুধু মাঠে সীমাবদ্ধ ছিল না; তার অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবল ইতিহাস ও পরিসংখ্যান ফেডারেশন দ্বারা শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড় হিসেবে সম্মানিত হন।

    পেলের খেলা দেখতে যুদ্ধ থেমে যাওয়ার ঘটনা ফুটবল ইতিহাসের এক চমকপ্রদ অধ্যায়। এটি ১৯৬৯ সালের ২৭ জুলাই ঘটে, যখন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলে এবং তার ক্লাব সান্তোস একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে পেরু গিয়েছিল। এই ম্যাচটি “অদ্ভুত শান্তি” বা “পেলেকি শান্তি” নামে পরিচিত, এবং এটি ব্রাজিল এবং পেরু সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সংঘটিত হয়।

    ১৯৬০-এর দশকের শেষের দিকে, ব্রাজিল এবং পেরুর সীমান্তে রাজনৈতিক উত্তেজনা ও সংঘাত চলছিল। এই অঞ্চলে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের ফলে দুই দেশের মধ্যে একটি উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এই পরিস্থিতি অস্থিরতার মধ্যে, ফুটবল খেলা অনেক সময় প্রাপ্তির সেতু হিসেবে কাজ করেছে।

    ১৯৬৯ সালের জুলাই মাসে, পেলের নেতৃত্বে সান্তোস পেরুর রাজধানী লিমার একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে গিয়ে সীমান্তে পৌঁছায়। সান্তোস ক্লাবের উপস্থিতি ও পেলের খেলাধুলা এই অঞ্চলে বিশেষ গুরুত্ব বহন করেছিল। সান্তোসের সেই ম্যাচটি ছিল শুধু একটি খেলাধুলার ইভেন্ট নয়, বরং একটি রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক গুরুত্বও বহন করেছিল।

    উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, পেলে যখন এই অঞ্চলে খেলতে এসে পৌঁছেছিলেন, তখন স্থানীয় পরিস্থিতি ছিল উত্তেজনাপূর্ণ। এটি ছিল সান্তোসের একটি বিশেষ সফর, যেখানে পেলের উপস্থিতি ছিল প্রধান আকর্ষণ। পেলের খেলা এবং তার চারপাশে সৃষ্ট উদ্দীপনা, দুটি দেশের মধ্যে সাময়িক শান্তি নিশ্চিত করতে সাহায্য করেছিল। এই বিশেষ ম্যাচের সময়ে, স্থানীয় আঞ্চলিক সংঘাত সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়, এবং দুই দেশের সামরিক বাহিনী একদিনের জন্য যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করে।

    পেলে এবং সান্তোসের ম্যাচটি মাঠে একটি ফুটবল মহাকাব্য হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকে। এই ম্যাচটি ফুটবল এবং ক্রীড়া শান্তির প্রমাণ হিসেবে উল্লেখযোগ্য, যেখানে একটি বিশেষ খেলোয়াড় এবং তার ক্লাবের উপস্থিতি সীমান্তের দুই প্রান্তে একটি মানবিক সমঝোতার সেতু গড়তে সহায়তা করেছে। পেলের খেলায় উপস্থিতি শুধু ক্রীড়া প্রদর্শনী নয়, বরং একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক গুরুত্বও বহন করেছে।

    পেলে, ফুটবলের অমর কিংবদন্তি, তার অনন্য জীবন ও ক্যারিয়ারের মাধ্যমে ফুটবল ইতিহাসে এক নতুন যুগের সূচনা করেছেন। তার খেলাধুলার অসাধারণ কীর্তি, পরিসংখ্যান এবং অর্জনগুলি ফুটবল জগতের অম্লান অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত। পেলের খেলা দেখতে যুদ্ধ থেমে যাওয়ার মতো ঐতিহাসিক ঘটনা তার ফুটবল প্রতিভার এক বিশাল প্রমাণ। পেলে শুধু ফুটবলের কিংবদন্তি নন; তিনি মানুষের হৃদয়ে চিরকাল অমর হয়ে থাকবেন, ফুটবলের এক অপরিহার্য অংশ হিসেবে।

    Share. Facebook Twitter LinkedIn Email Telegram WhatsApp Copy Link

    সম্পর্কিত সংবাদ

    খেলা

    ১২৪ বছর পর অলিম্পিকে ফিরছে ক্রিকেট

    July 17, 2025
    খেলা

    সন্ধ্যায় সিরিজ জয়ের মিশনে নামছে বাংলাদেশ

    July 16, 2025
    খেলা

    আর্জেন্টিনার চেয়েও বেশি আয় করল চেলসি

    July 14, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সর্বাধিক পঠিত

    সব ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী নয়

    মতামত January 13, 2025

    বরিশালের উন্নয়ন বঞ্চনা: শিল্প, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে নেই অগ্রগতি

    মতামত April 22, 2025

    দেশের অর্থনৈতিক স্থবিরতা কি কেটে উঠা সম্ভব?

    অর্থনীতি May 29, 2025

    বাজেটের স্বাধীনতা: বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অন্যতম নিয়ামক

    আইন আদালত June 1, 2025
    সংযুক্ত থাকুন
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • YouTube
    • Telegram

    EMAIL US

    contact@citizensvoicebd.com

    FOLLOW US

    Facebook YouTube X (Twitter) LinkedIn
    • About Us
    • Contact Us
    • Privacy Policy
    • Comment Policy
    • About Us
    • Contact Us
    • Privacy Policy
    • Comment Policy

    WhatsAppp

    01339-517418

    Copyright © 2024 Citizens Voice All rights reserved

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.