শেষ ওভার পর্যন্ত রুদ্ধশ্বাস লড়াই, দম আটকানো উত্তেজনা, আর শেষ পর্যন্ত জয়—এভাবেই এশিয়া কাপে বাঁচা-মরার ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৮ রানে হারিয়ে সুপার ফোরের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ।
প্রথমে ব্যাট করে ১৫৪ রানের সংগ্রহ গড়ে টাইগাররা। শুরুতে তানজিদ হাসানের ঝড়ো ব্যাটিং ম্যাচের গতি পাল্টে দেয়। মাত্র ৩১ বলে ৫২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে তিনি হয়ে ওঠেন ম্যাচসেরা। তবে আফগান স্পিনার রশিদ খান ও নূর আহমেদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মাঝপথে ধস নামে লাল-সবুজদের ইনিংসে। তবুও সংগ্রহটা শেষ পর্যন্ত অমূল্য হয়ে দাঁড়ায়।
জবাবে আফগানিস্তানের ব্যাটিং ইনিংস শুরু হয় ভয়াবহভাবে। প্রথম বলেই নাসুম আহমেদের শিকার সেদিকুল্লাহ আতাল। পাওয়ারপ্লেতে মাত্র ২৭ রানে ২ উইকেট হারানোয় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতে নেয় বাংলাদেশ। এরপর গুরবাজ লড়াই চালালেও আফগান ইনিংসে একের পর এক ধস নামে।
নাসুম ৯ রানে ২ উইকেট, রিশাদ ১৮ রানে ২ উইকেট, আর টাসকিন ২ উইকেট তুলে নেন দুর্দান্ত বোলিংয়ে। তবে আসল পার্থক্য গড়ে দেন অভিজ্ঞ মোস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পরিকল্পিত বোলিংয়ে তুলে নেন ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। বিশেষ করে শেষ দিকে রশিদ খানকে আউট করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করেন তিনি।
শেষ পাঁচ ওভারে আফগানিস্তানের দরকার ছিল ৫৩ রান, হাতে পাঁচ উইকেট। তখন মনে হচ্ছিল ম্যাচ যেকোনো দিকে যেতে পারে। কিন্তু টাসকিন ও মোস্তাফিজের শীতল মস্তিষ্কের বোলিং আফগানদের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দেয়।
ম্যাচ শেষে আফগান অধিনায়ক রশিদ খানও স্বীকার করেন—“শেষ তিন ওভারে ৩১ রান তোলা অসম্ভব ছিল না, কিন্তু বাংলাদেশের দুই পেসার চাপের মুহূর্তে যেভাবে বোলিং করেছে, সেটাই আসল পার্থক্য।”
এই জয়ে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের আশা আবারও টিকে রইল। তানজিদের ঝড়ো শুরু আর স্পিন-সিম মিলিয়ে নিখুঁত পরিকল্পনার বোলিং—এই দুইয়ের সমন্বয়েই ঘুরে দাঁড়াল টাইগাররা।