দুবাইয়ের শুষ্ক উইকেটে দারুণ এক লড়াই শেষে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে জয়ের পতাকা উড়িয়েছে বাংলাদেশ। ১৬৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সাইফ হাসান ও তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাটে ভর করে এগিয়ে যায় টাইগাররা। শেষ ওভার পর্যন্ত নাটকীয়তা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হাসি বাংলাদেশের মুখেই।
শ্রীলঙ্কা আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে তোলে ১৬৮ রান। দাসুন শানাকা ছিলেন একাই তাদের ভরসা—৩৭ বলে অপরাজিত ৬৪ রান করেন তিনি। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মুস্তাফিজুর রহমান দুর্দান্ত—৪ ওভারে মাত্র ২০ রান খরচ করে নেন ৩ উইকেট। তার সঙ্গে মাহেদী হাসানও ২টি উইকেট শিকার করেন।
লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ওভারেই তানজিদ আউট হয়ে ফেরেন। কিন্তু সাইফ হাসান বিপদের সঙ্গী হননি। লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে ৩৪ বলে ৫৯ রানের ঝড়ো জুটি গড়ে খেলার নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। পরে হৃদয়কে পাশে পেয়ে গড়েন আরও ৫৪ রানের পার্টনারশিপ। দুইজন মিলে ইনিংসকে মজবুত ভিত এনে দেন।
শেষদিকে হৃদয় ও শামিম মিলে ২৭ বলে ৪৫ রান যোগ করলে জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। যদিও একেবারে শেষ ওভারে কিছুটা চাপ তৈরি হয়, তবুও তখন বাংলাদেশের দরকার ছিল মাত্র ৫ রান। শেষ পর্যন্ত এক বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টাইগাররা। সাইফ ৬১ এবং হৃদয় ৫৮ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন।
লঙ্কান ইনিংসের শুরুটা ভালো হলেও মাঝপথেই ধাক্কা খায় তারা। উইকেটের পতন ঠেকাতে পারেননি কেউ, একাই লড়াই চালিয়ে যান শানাকা। ছয়টি ছক্কা ও তিনটি চার মেরে ইনিংসকে লড়াইযোগ্য জায়গায় নিয়ে যান তিনি। তবে মুস্তাফিজ ও তাসকিনের শেষ দুই ওভারের নিখুঁত বোলিং তাদের বড় সংগ্রহ থেকে বঞ্চিত করে।
-
মুস্তাফিজ ১৯তম ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে নেন দুই উইকেট।
-
তাসকিন শেষ ওভারে চারটি ডট বল করে শ্রীলঙ্কাকে চাপে ফেলেন।
-
সাইফ হাসান পাওয়ারপ্লেতে নুয়ান তুষারাকে দারুণভাবে সামলান, আক্রমণাত্মক শট খেলে শুরুতেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন।
-
হৃদয় কামিন্দু মেন্ডিসকে টার্গেট করে এক ওভারে ১৬ রান তুলে ম্যাচ বাংলাদেশের দিকে টেনে আনেন।
শেষ পর্যন্ত সাইফ-হৃদয়ের ব্যাটিং আর মুস্তাফিজ-তাসকিনের বোলিংই জয় এনে দিলো টাইগারদের। দুবাইয়ের গ্যালারিতে তখন লাল-সবুজ পতাকা উড়ছে আনন্দে।