ফরাসি তারকা ওসমান দেম্বেলে জিতলেন ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ব্যালন ডি’অর ২০২৫। প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) এবং ফ্রান্স জাতীয় দলের এই ফরোয়ার্ড এবার ব্যক্তিগত অর্জন ও দলীয় সাফল্যের দারুণ সমন্বয়ে ছাপিয়ে গেলেন সবাইকে।
দেম্বেলে এই মৌসুমে যেন নতুন করে জন্ম নিলেন। তিনি শুধু পিএসজির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী দলের মূল নায়কই নন, বরং ঘরোয়া দ্বৈত শিরোপাও জিতেছেন। পুরো মৌসুমে তার ঝুলিতে ছিল ৩৭ গোল আর ১৫টি অ্যাসিস্ট—যা তাকে শেষ পর্যন্ত ইউরোপের সেরা তারকার আসনে বসিয়েছে।
ব্যালন ডি’অর শীর্ষ দশ (পুরুষ বিভাগ)
১. ওসমান দেম্বেলে (ফ্রান্স, পিএসজি)
২. লামিনে ইয়ামাল (স্পেন, বার্সেলোনা)
৩. ভিতিনিয়া (পর্তুগাল, পিএসজি)
৪. মোহামেদ সালাহ (মিসর, লিভারপুল)
৫. রাফিনহা (ব্রাজিল, বার্সেলোনা)
৬. আক্রাফ হাকিমি (মরক্কো, পিএসজি)
৭. কিলিয়ান এমবাপ্পে (ফ্রান্স, রিয়াল মাদ্রিদ)
৮. কোল পামার (ইংল্যান্ড, চেলসি)
৯. জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা (ইতালি, পিএসজি)
১০. নুনো মেন্দেস (পর্তুগাল, পিএসজি)
শুধু দেম্বেলে নন, এবারের আসরে পুরস্কার পেয়েছেন আরও অনেক তারকা।
-
নারী ব্যালন ডি’অর: আতানা বনমাতি (স্পেন, বার্সেলোনা) – টানা তৃতীয়বারের মতো
-
কোপা ট্রফি (সেরা তরুণ): লামিনে ইয়ামাল (পুরুষ), ভিকি লোপেজ (নারী)
-
ইয়াশিন ট্রফি (সেরা গোলরক্ষক): দোন্নারুমা (পুরুষ), হান্নাহ হ্যাম্পটন (নারী)
-
গার্ড মুলার ট্রফি (সেরা গোলদাতা): ভিক্টর জিওকারেস (পুরুষ), এভা পাজোর (নারী)
-
ইয়োহান ক্রুইফ ট্রফি (সেরা কোচ): লুইস এনরিকে (পুরুষ), সারিনা ভিগম্যান (নারী)
-
ক্লাব অব দ্য ইয়ার: পুরুষ বিভাগে পিএসজি, নারী বিভাগে আর্সেনাল
-
সক্রাতেস অ্যাওয়ার্ড: ফুন্দাসিওন জানা (স্পেন)
দেম্বেলের মহিমা আর পিএসজির দাপট
একদিকে ব্যক্তিগত পুরস্কার, অন্যদিকে দলীয় সাফল্য—দেম্বেলের হাত ধরেই পিএসজি যেন ইউরোপীয় ফুটবলে এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। এমবাপ্পে রিয়াল মাদ্রিদে চলে যাওয়ার পর যিনি চাপ সামলেছেন, সেই দেম্বেলেই আজ ইউরোপের মুকুট জিতে নিয়েছেন।
ফ্রান্স ফুটবলের আয়োজনে এবং উয়েফার সহ-সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত হয় এবারের ব্যালন ডি’অরের ৬৯তম আসর। প্যারিসের বিখ্যাত থিয়েত্র দু শাতলে-তে সোমবার রাতের জমকালো আয়োজনে বিশ্ব ফুটবলের সব তারকারা উপস্থিত ছিলেন।
ব্যালন ডি’অরকে বলা হয় ফুটবলের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিগত পুরস্কার। আর এবারের আসরে সেই স্বর্ণমুকুট উঠলো ওসমান দেম্বেলের মাথায়—যা তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উজ্জ্বল মুহূর্ত হয়ে থাকবে নিঃসন্দেহে।