২০২৪ সালের বিপিএল টিকিট বিক্রি থেকে রেকর্ড আয় করেছে। অর্থনৈতিক দিক থেকে আসরটি লাভজনক হলেও নানা অনিয়ম আর কেলেঙ্কারিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে। ক্রিকেটাররা সময়মতো পারিশ্রমিক না পাওয়ায় প্র্যাকটিস বয়কট করেছেন। বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে অনেকে ম্যাচ না খেলেই হোটেলে থাকা পছন্দ করেছেন।
পরিশ্রমিক পরিশোধে গড়িমসি ছিল অনেক দলের। হোটেল বিলও অনেক সময় ঠিকমতো দেওয়া হয়নি। এমনকি বিদেশি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক তাদের দেশে ফেরার দিন পর্যন্ত পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে।
মাঠে ফিক্সিংয়ের অভিযোগও ওঠে। ম্যাচ ও স্পট ফিক্সিং নিয়ে শোনা গেছে। কয়েকজন ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার বিষয়ে সন্দেহ করা হয়। অর্থাৎ টিকিট বিক্রি থেকে আয়ের পরেও বিপিএলের গায়ে কালো দাগ লেগেছিল।
এবার সেই দাগ এড়াতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আরও সক্রিয়। ২০২৫ সালের বিপিএলে সবরকম দুর্নীতি, ম্যাচ ও স্পট ফিক্সিং প্রতিরোধে তারা শুরু থেকেই সতর্ক। বিসিবির ভেতরের সূত্র জানাচ্ছে, এবারের বিপিএলে আইসিসির সরণাপন্ন থাকবে।
বিসিবি এবার নিজেদের দুর্নীতি দমন ইউনিটের ওপর আস্থা রাখছে না। তাই সরাসরি আইসিসি অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের নজরদারিতে আসর আয়োজনের সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত।
অন্যদিকে, প্লেয়ার্স ড্রাফট ও আসরের শুরু হওয়ার দিন এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আয়োজকরা নভেম্বরের মাঝামাঝি ড্রাফট সম্পন্ন করতে চান। বিপিএল শুরু হতে পারে ১৯ ডিসেম্বর থেকে এবং শেষ হতে পারে ১৬ জানুয়ারি। প্রতিযোগী দলের সংখ্যা অনুযায়ী সময়সূচি সামান্য পরিবর্তিত হতে পারে। যদি দল ৫টি হয়, তাহলে জানুয়ারির মাঝামাঝি শেষ হবে। আর ৬ দলের আসরে শেষ হতে পারে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে।

