অকল্যান্ডে টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় ম্যাচে একের পর এক ছক্কার বন্যায় রোমাঞ্চকর লড়াই উপহার দিয়েছে নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩০ ছক্কা, ২৪ চার আর মোট ৪১১ রানের এই ম্যাচে শেষ বল পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা টিকে ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে কিউইরা।
অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে টসে জিতে আগে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড তোলে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৭ রান। ১২ ওভারে ৮১ রান তুললেও শেষ ৮ ওভারে দলটি ঝড় তোলে—মাত্র ৪৮ বলে যোগ হয় ১২৬ রান। ঝড়ের সূত্রপাত হয় ১৩তম ওভারে, যখন রোমারিও শেফার্ডের এক ওভারেই ৩ ছক্কা ও ১ চারে ২৬ রান তোলেন মার্ক চ্যাপম্যান।
চ্যাপম্যানের ২৭ বলে ৭৮ রানের ইনিংস সাজানো ছিল ৪ চার ও ৭ ছক্কায়। ওপেনার টিম রবিনসন করেন ২৫ বলে ৩৯ রান, আর ড্যারিল মিচেল ও মিচেল স্যান্টনার যথাক্রমে ১৪ বলে ২৮ ও ৮ বলে অপরাজিত ১৮ রান যোগ করেন।
রান তাড়ায় নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজও জয়ের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। একসময় ৯৪/৬ থাকা দলটি শেষ ৭ ওভারে তোলে অবিশ্বাস্য ১১০ রান। রোভম্যান পাওয়েল (১৬ বলে ৪৫, ৬ ছক্কা), রোমারিও শেফার্ড (১৬ বলে ৩৪) ও ম্যাথু ফোর্ড (১৩ বলে ২৯*) শেষ মুহূর্তে ম্যাচ জমিয়ে দেন।
শেষ বলে ছক্কা প্রয়োজন ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। কিন্তু কিউই পেসার কাইল জেমিসনের স্লোয়ার বলটি ভালোভাবে টাইম করতে পারেননি ফোর্ড—বল আকাশে উঠে পড়ে নিরাপদ স্থানে, রান হয় মাত্র একটি। তাতেই ৩ রানে হার মেনে নিতে হয় ক্যারিবীয়দের।
এই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গড়েছে নতুন এক রেকর্ড—টি-টোয়েন্টিতে টেস্ট খেলুড়ে দলের মধ্যে শেষ ৫ ওভারে সর্বোচ্চ ৮৭ রান করার নজির তাদেরই। এর আগে এই রেকর্ড ছিল ২০২৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজেরই (৮৬ রান)।
এই জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা ফেরাল নিউজিল্যান্ড।

