২০২৫ সালের প্রথম দিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ইতিমধ্যেই ২৬০ কোটি টাকার বিমা দাবি পরিশোধ করেছে। কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত সোনালী লাইফের একযুগ পূর্তি অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান ফওজিয়া কামরুল তানিয়া এবং অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ।
রফিকুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের বাকি সময়ে আরও ৩২০ কোটি টাকার দাবি পরিশোধের লক্ষ্য রয়েছে। “ইনশাআল্লাহ, আমরা সেটি করব। আমাদের সেই সক্ষমতা রয়েছে,” তিনি বলেন।
তিনি আরও বলেন, “বিমা খাত নিয়ে দেশে কিছু নেতিবাচক গুজব থাকায় মানুষের আগ্রহ কম। তবে সোনালী লাইফ সেই ধারার বাইরে। আমরা সাধারণ বিমা কোম্পানি নই। বিনিয়োগকারীদের শতভাগ দাবি পরিশোধ করেই আমরা আস্থা অর্জন করেছি।”
রফিকুল ইসলাম যোগ করেন, “বাংলাদেশে এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে আমাদের পলিসিধারকরা পৌঁছাবে না। আমরা দেশের অনেক কোণে ইতিমধ্যেই পৌঁছেছি, তবে এতে সন্তুষ্ট নই। প্রত্যেক পরিবারে আমাদের সেবা পৌঁছে দিতে চাই।”
তিনি বলেন, “আমরা মানুষের সঞ্চয়কে নিরাপদ রাখি এবং ঝুঁকি আমরা নি। একজন ব্যক্তি যখন বয়সে বৃদ্ধ বা দুর্বল হয়ে পড়েন, তখন আমরা পাশে দাঁড়াই। আমাদের কাজ সবসময় মানুষের স্বার্থে। ভবিষ্যতে আরও বেশি মানুষকে সহায়তা করার পরিকল্পনা রয়েছে।”
অনুষ্ঠানে ভাইস চেয়ারম্যান ফওজিয়া কামরুল তানিয়া বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য কেবল প্রিমিয়াম আয় নয়, গ্রাহকের সুরক্ষা নিশ্চিত করাই প্রধান উদ্দেশ্য। আমরা দেশের মানুষের ভালোবাসার প্রতিষ্ঠান হতে চাই এবং তাদের আস্থা অর্জন করতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “যেমন ব্যাংকিং খাতে আমানতকারীর আস্থা রয়েছে, তেমনই আমরা চাই বিমা খাতেও পলিসিধারকদের আস্থা প্রতিষ্ঠা করতে। এটি শুধু আমাদের লক্ষ্য নয়; আমাদের প্রতিষ্ঠাতার স্বপ্নও। আমার বাবা, মরহুম মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস, এই স্বপ্ন দেখেছিলেন, এবং আমরা সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।”
কোম্পানির পরিচালক শেখ মোহাম্মদ ড্যানিয়েল বলেন, “আমাদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান স্বপ্ন দেখতেন মাত্র ৭ দিনে বিমা দাবি পরিশোধ করতে। আমরা শতভাগ দাবিই পরিশোধের পথে আছি, তবে এখনো পুরোপুরি সেই লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। ইনশাআল্লাহ, খুব শিগগিরই আমরা এটি সফল করব।”
সোনালী লাইফের এই পদক্ষেপ দেশের বিমা খাতে গ্রাহকের আস্থা বৃদ্ধিতে নতুন উদাহরণ স্থাপন করছে। কোম্পানিটি শুধু অর্থনৈতিক নয়, মানবিক দায়িত্বকেও গুরুত্ব দিচ্ছে—যা বাংলাদেশে বিমা শিল্পের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।

