লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ২০২৪ সালের ফলাফল শেয়ারহোল্ডারদের বড় ধরনের হতাশায় ফেলেছে। আগের বছরের তুলনায় ভালো ফলের আশা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি তা পূরণ করতে পারেনি।
২০২৪ সালের প্রথম নয় মাস শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৬৭ পয়সা। এতে বিনিয়োগকারীরা ভেবেছিলেন, পুরো বছরের ফল আরও ভালো হবে। কিন্তু বছরের শেষে প্রকাশিত হিসাবে দেখা যায়, চূড়ান্ত ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৫১ পয়সা—যা নয় মাসের তুলনায় ২৪ শতাংশ এবং ২০২৩ সালের তুলনায় ৩৭ শতাংশেরও বেশি কম।
লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা শামীম আল মামুন বলেন, “২০২৪ সালে আমাদের উচ্চ পরিমাণে প্রভিশন রাখতে হয়েছে। ওই সময় অর্থনীতিতে বড় অস্থিরতা দেখা দেয়, যা আমাদের মুনাফায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।”
২০০৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর এবারই প্রথম কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি প্রতিষ্ঠানটি। এ সিদ্ধান্তে বিনিয়োগকারীদের অসন্তোষ আরও বাড়ে। তার ওপর বার্ষিক ফলাফল প্রকাশে ছয় মাসের বেশি সময় নেওয়ায় ক্ষোভ বেড়েছে।
দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ফলাফল ঘোষণার পর বুধবার বাজারে এর প্রভাব স্পষ্ট হয়। কোম্পানির শেয়ারমূল্য একদিনেই প্রায় ১৩ শতাংশ কমে দাঁড়ায় প্রতি শেয়ারে ১৪ টাকা ৪০ পয়সায়।
একই দিনে প্রতিষ্ঠানটি ২০২৫ সালের প্রথম নয় মাসের ফলাফলও প্রকাশ করে। জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে তাদের ইপিএস দাঁড়ায় ৫৪ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ কম।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যাখ্যা অনুযায়ী, একীভূত ইপিএস কমার প্রধান কারণ হলো বিনিয়োগ আয় হ্রাস, ঋণক্ষতির জন্য বাড়তি প্রভিশন এবং তহবিল ব্যয়ের বৃদ্ধি।
চলতি বছরের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে একীভূত কার্যক্রম থেকে নগদ প্রবাহ দাঁড়ায় প্রতি শেয়ারে ৩ টাকা ৪১ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ের ৫ টাকার তুলনায় কম। লংকাবাংলা জানায়, গ্রাহকদের কাছে ঋণ ও অগ্রিম বিতরণ বাড়ায় এই পতন ঘটেছে।

