ইউনিটহোল্ডারদের স্বার্থ সুরক্ষায় এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনায় থাকা ছয়টি মিউচুয়াল ফান্ডে ব্যাংক ও পুঁজিবাজারে সব ধরনের লেনদেন স্থগিত রাখা হয়েছে।
ফান্ডগুলোর ট্রাস্টি বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিজিআইসি) সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে এ নির্দেশনা দিয়েছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এ তথ্য জানিয়েছে।
স্থগিত ফান্ডগুলো হলো—
- গ্রিন ডেল্টা মিউচুয়াল ফান্ড
- এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড
- এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড
- এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান
- এনসিসিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান
- ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড
সবগুলো ফান্ডের সম্পদ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল এলআর গ্লোবাল।
বিজিআইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এসব ফান্ড থেকে অনলাইন ও অফলাইনে কোনো ধরনের টাকা উত্তোলন করা যাবে না। পাশাপাশি ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে ফান্ডগুলোর শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় বা ট্রেডিং কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
এ পদক্ষেপ আসে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-এর ৯৭৮তম কমিশন সভার পর। ওই সভায় ফান্ডগুলোর সম্পদ ব্যবস্থাপক হিসেবে এলআর গ্লোবালের নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়।
বিএসইসি জানায়, প্রতিষ্ঠানটি সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করে নিট দায় ও পুঞ্জীভূত লোকসানে থাকা দুর্বল কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করেছে, যা মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালার পরিপন্থী।
তদন্তে দেখা যায়, ছয় ফান্ডের মাধ্যমে এলআর গ্লোবাল ২৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে পদ্মা প্রিন্টার্স অ্যান্ড কালার লিমিটেডের ৫১ শতাংশ শেয়ার কিনেছিল। কোম্পানিটি তখন স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বোর্ড থেকে তালিকাচ্যুত এবং কোনো ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাচ্ছিল না।
২০২২ সালের ২০ জুনে এ বিনিয়োগ করা হয়। তখন পদ্মা প্রিন্টার্সের শেয়ারপ্রতি নিট দায় ছিল ২ টাকা ৭৪ পয়সা এবং পুঞ্জীভূত লোকসান ছিল ২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এসব তথ্য স্পষ্টভাবে মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা, ২০০১-এর লঙ্ঘন নির্দেশ করে।
একই সভায় বিএসইসি ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান বিজিআইসি-কেও তদারকি ব্যর্থতার কারণে ৩ কোটি টাকা জরিমানা করে।
পরবর্তীতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছয় ফান্ডে ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসের লেনদেন কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশনা কার্যকর করা হয়।

