বাংলাদেশ ফাইন্যান্স পিএলসি ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। অনিরীক্ষিত আর্থিক ফলাফল কোম্পানির কার্যক্রমে স্থিতিশীলতা, কৌশলগত শৃঙ্খলা এবং বিচক্ষণ ব্যবস্থাপনার পরিচয় দিয়েছে। নন-ব্যাংকিং আর্থিক খাতের চলমান চ্যালেঞ্জের মধ্যেও কোম্পানি তার দৃঢ় অবস্থান ও স্থিতিস্থাপকতা প্রমাণ করেছে।
কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ২০২৫ সালের ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সভায় ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করেছে। জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত নয় মাসে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৫৭ টাকা, যেখানে গত বছরের একই সময়ে ছিল ০.৯৫ টাকা। এটি ১৬০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে। তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২৫) সমন্বিত ইপিএস দাঁড়িয়েছে ০.৪৫ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১.২৮ টাকা।
এ বছর তৃতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত ফলাফলের উল্লেখযোগ্য উন্নতির মূল কারণ ছিল ঋণ, লিজ ও বিনিয়োগের ওপর প্রভিশন হ্রাস এবং পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ পোর্টফোলিওর কৌশলগত পুনর্গঠন। এর ফলে অতিরিক্ত প্রভিশন সমন্বয় সম্ভব হয়েছে। এই পদক্ষেপগুলো কোম্পানির নীট মুনাফা বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছে এবং শক্তিশালী ব্যালান্স শীট ও কার্যকর ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর প্রতিফলন ঘটিয়েছে।
আর্থিক খাতে সার্বিক তারল্য সংকট, করপোরেট গ্রাহকদের অনিয়মিত ঋণ পরিশোধ এবং তহবিল ব্যয়ের বৃদ্ধির মতো চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ ফাইন্যান্স পিএলসি আর্থিক শৃঙ্খলা, ব্যয় দক্ষতা ও টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কোম্পানি এসএমই ও রিটেইল খাতে ঋণ পোর্টফোলিও বৈচিত্র্যকরণ করছে, আমানত ভিত্তি শক্তিশালী করছে এবং প্রযুক্তি-নির্ভর সেবা সম্প্রসারণের মাধ্যমে কার্যকরী দক্ষতা ও উন্নত গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করছে।
ক্রমাগত উন্নতি ও সুসংহত কৌশলগত পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ফাইন্যান্স পিএলসি ভবিষ্যতেও প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার বিষয়ে আশাবাদী। কোম্পানি তার সকল অংশীজনের প্রতি স্থিতিশীলতা, স্বচ্ছতা এবং দীর্ঘমেয়াদি মূল্য সৃষ্টির অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।

