২০২৫ সালের প্রথম ৯ মাসে দেশের শীর্ষস্থানীয় নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি ১৭৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার কর-পরবর্তী একত্র নিট মুনাফা অর্জন করেছে। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি।
জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির একত্র মুনাফা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ কোটি ৫০ লাখ টাকায়। এ সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়ে ৪.০৪ টাকায় উঠেছে, যা ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের ২.৮৭ টাকার চেয়ে বেশি। একক (স্ট্যান্ডালোন) কর-পরবর্তী নিট মুনাফা ১৩৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ২৯ শতাংশ বেড়েছে। একক মেয়াদি আমানত (টার্ম ডিপোজিট) ২০২৪ সালের তুলনায় ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১০ হাজার ৪০৭ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। ঋণ পোর্টফোলিও ১২ হাজার ১৬৭ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় ৮ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।
বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষ মূলধন ব্যবস্থাপনা এবং কার্যকর ব্যবসায়িক কৌশলের কারণে আইডিএলসি এই সাফল্য অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠানটির একত্র রিটার্ন অন ইক্যুইটি (বার্ষিকীকৃত) বেড়ে ১১.৩৯ শতাংশ হয়েছে, যা গত বছর ছিল ৮.৬৫ শতাংশ। একইভাবে একত্র রিটার্ন অন অ্যাসেটস বেড়ে ১.৪৮ শতাংশে পৌঁছেছে, যা ২০২৪ সালের ১.১৪ শতাংশের চেয়ে বেশি।
মন্দ ঋণের অনুপাত ৪.৭১ শতাংশে স্থিতিশীল রয়েছে, যা গত বছরের ৪.৯৮ শতাংশের তুলনায় কম এবং সংশ্লিষ্ট খাতের গড় অনুপাতের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে কম। একক প্রভিশন কভারেজ অনুপাত ১০১.৭৫ শতাংশ, যা প্রতিষ্ঠানটির সতর্ক ও দক্ষ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার প্রতিফলন।
আইডিএলসি ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের সাফল্যের মূল সূত্র হলো অনন্য ব্যবসায়িক মডেল এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় কঠোর শৃঙ্খলা। দীর্ঘ মেয়াদে গ্রাহককেন্দ্রিক সমাধান তৈরি করতেই আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর্থিক লাভজনকতা এবং দায়িত্বশীল প্রশাসনিক পরিচালনার মধ্যে ভারসাম্য রেখে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’ রাজধানীর গুলশানে আইডিএলসি করপোরেট হেড অফিসে অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের ৩৫৭তম সভায় ২০২৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়েছে।

