গত সপ্তাহে দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। দাম কমার তালিকায় শীর্ষে ছিল প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানি।
বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ না থাকায় প্রিমিয়ার লিজিংয়ের শেয়ারের দাম পাঁচ কার্যদিবস ধরে কমতে থাকে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত শেয়ারের দাম কমার শীর্ষস্থান দখল করেছে প্রতিষ্ঠানটি। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ২২ পয়সা বা ১৮.৩৩ শতাংশ কমেছে। এর ফলে পাঁচ দিনের লেনদেনে শেয়ারের দাম মিলিতভাবে কমেছে ২ কোটি ৯২ লাখ টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৯৮ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষে ছিল ১ টাকা ২০ পয়সা।
শুধু গত সপ্তাহ নয়, এই দরপতন প্রবণতা চলতি বছরের ২৪ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে। ২৪ জুলাই শেয়ারের দাম ছিল ৩ টাকা ২০ পয়সা। ধারাবাহিক দরপতনের ফলে শেয়ার এখন ৯৮ পয়সায় নেমেছে। তিন মাসে শেয়ারের দাম কমেছে ২ টাকা ২২ পয়সা। একই সময়ে শেয়ারদর সম্মিলিতভাবে কমেছে ২৯ কোটি ৫১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা।
প্রিমিয়ার লিজিং বিনিয়োগকারীদের ২০১৮ সালের পর থেকে কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। সর্বশেষ ২০১৮ সালে ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছিল। এর আগে ২০১৭ সালে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার, ২০১৬ সালে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ প্রদান করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৩ কোটি ২৯ লাখ ৭০ হাজার ২১০টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ২০.৭২ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ধারণ করেন ৫৬.৩১ শতাংশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ২২.৯৭ শতাংশ। প্রিমিয়ার লিজিংয়ের পরে দাম কমার তালিকায় ছিল স্টাইল ক্রাফট, যার শেয়ার দাম কমেছে ১৫.৯৯ শতাংশ। প্রিমিয়ার ব্যাংকের শেয়ার দাম কমেছে ১৫.২৫ শতাংশ, যা তৃতীয় স্থানে।
সর্বশেষ শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম কমেছে মেঘনা সিমেন্টে ১৫.১২ শতাংশ, বসুন্ধরা পেপার মিল ১৪.০১ শতাংশ, এক্সিম ব্যাংক ১৩.৫১ শতাংশ, ফার কেমিক্যাল ১২.৯৮ শতাংশ, ন্যাশনাল ব্যাংক ১২.১২ শতাংশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ১১.৫৪ শতাংশ এবং ইউনিয়ন ব্যাংক ১১.১১ শতাংশ।

