দেশে ব্যবসা করা জীবন বিমা কোম্পানিগুলো গ্রাহকের দাবির টাকা সঠিকভাবে পরিশোধ করতে পারছে না। ফলে বকেয়া বিমা দাবির পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে উত্থাপিত বিমা দাবির মাত্র ৩৫ শতাংশই পরিশোধ করা হয়েছে।
বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে ৩৬টি জীবন বিমা কোম্পানিতে মোট ৫ হাজার ৯৮৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকার বিমা দাবি উত্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ১০৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে, আর বাকি ৩ হাজার ৮৮০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বকেয়া আছে।
দাবি পরিশোধে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। এই কোম্পানিতে প্রায় ৯৯ শতাংশ বিমা দাবি বকেয়া রয়েছে। এছাড়া সাতটি কোম্পানি বকেয়া দাবির মূল উৎস। এগুলো হলো: ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রোগ্রেসিভ লাইফ, সানফ্লাওয়ার লাইফ ইন্স্যুরেন্স, গোল্ডেন লাইফ, হোমল্যান্ড লাইফ, বায়রা লাইফ এবং সান লাইফ ইন্স্যুরেন্স। এই সাত কোম্পানিতে মোট ৩ হাজার ৫৭১ কোটি ৯০ লাখ টাকার দাবি বকেয়া রয়েছে, যা সার্বিক বকেয়া দাবির ৯০ শতাংশের বেশি। বিমা খাত বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতি গ্রাহকের আস্থা নষ্ট করছে এবং খাতের সার্বিক স্থিতিশীলতার জন্য সংকেত হয়ে উঠেছে।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দেশে জীবন বিমা খাতে সবচেয়ে বেশি দাবি বকেয়া রয়েছে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে। কোম্পানিতে মোট ২ হাজার ৮১৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকার বিমা দাবি উত্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৩৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা পরিশোধ হয়েছে। ফলে বকেয়া দাবির হার দাঁড়িয়েছে ৯৮.৯৬ শতাংশ।
প্রগতি লাইফের সিইও মো. জালালুল আজিম বলেন, “কিছু কোম্পানি পুরো বিমা খাতের পরিবেশ নষ্ট করছে। তারা গ্রাহকের দাবির টাকা ঠিকমতো পরিশোধ না করলে সেক্টরে আস্থার সংকট তৈরি হয়। যতদিন এসব কোম্পানি দাবির টাকা পরিশোধ করতে পারবে না, ততদিন তাদের নতুন পলিসি ইস্যু করা উচিত হবে না।”
অন্য কোম্পানিগুলোর অবস্থাও উদ্বেগজনক:
- বায়রা লাইফ: ৭৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকার দাবি উত্থাপিত; মাত্র ৪০ লাখ টাকা পরিশোধ; বকেয়া ৭৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
- পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স: ২৫৭ কোটি ৪২ লাখ টাকার দাবি উত্থাপিত; মাত্র দুই কোটি ১৪ লাখ টাকা পরিশোধ; বকেয়া ২৫৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
- হোমল্যান্ড লাইফ: ৩৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকার দাবি উত্থাপিত; ৬৩ লাখ টাকা পরিশোধ; বকেয়া ৩৪ কোটি ২১ লাখ টাকা।
বিমা খাত বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের পরিস্থিতি খাতের বিশ্বাসযোগ্যতা হ্রাস করছে এবং গ্রাহক আস্থাকে ধাক্কা দিচ্ছে। জীবন বিমা খাতে গ্রাহকের দাবির টাকা পরিশোধের ক্ষেত্রে বড় ফারাক লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিছু কোম্পানি শুধুমাত্র অল্প অংশ পরিশোধ করছে, আবার কিছু কোম্পানি শতভাগ দাবি মেটিয়ে খাতের আস্থা ধরে রেখেছে। বকেয়া দাবির দিক থেকে গোল্ডেন লাইফ, প্রোগ্রেসিভ লাইফ এবং সানফ্লাওয়ার লাইফ সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে।
-
গোল্ডেন লাইফ: ৪৩ কোটি ২৭ লাখ টাকার দাবি; ১ কোটি ৬৭ লাখ টাকার পরিশোধ; বকেয়া ৪১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
-
প্রোগ্রেসিভ লাইফ: ১৬২ কোটি ৮৬ লাখ টাকার দাবি; ৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকার পরিশোধ; বকেয়া ১৫৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
-
সানফ্লাওয়ার লাইফ: ১৯৪ কোটি ৫২ লাখ টাকার দাবি; ৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকার পরিশোধ; বকেয়া ১৯০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
অন্যদিকে আলফা লাইফ, এলআইসি বাংলাদেশ, মার্কেন্টাইল লাইফ ও সোনালী লাইফ শতভাগ দাবি পরিশোধে শীর্ষে রয়েছে।
-
আলফা লাইফ: ১১ কোটি ২৯ লাখ টাকার দাবি; শতভাগ পরিশোধ।
-
এলআইসি বাংলাদেশ: ১ কোটি ২৪ লাখ টাকার দাবি; শতভাগ পরিশোধ।
-
মার্কেন্টাইল লাইফ: ৪ কোটি ৫ লাখ টাকার দাবি; শতভাগ পরিশোধ।
-
সোনালী লাইফ: ৯৮ কোটি ১৭ লাখ টাকার দাবি; শতভাগ পরিশোধ।
পপুলার লাইফও মোট দাবির প্রায় সম্পূর্ণ পরিশোধ করেছে। কোম্পানিতে ১০৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার মধ্যে ১০২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা পরিশোধ হয়েছে। বকেয়া মাত্র ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা, পরিশোধের হার ৯৭.৯১%। টাকার পরিমাণের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি দাবি পরিশোধ করেছে মেটলাইফ বাংলাদেশ। চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে ৮৩৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকার দাবির মধ্যে ৭৬৯ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। বকেয়া রয়েছে ৭০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। দাবি পরিশোধের হার ৯১.৫৭%।
আইডিআরএর মুখপাত্র সাইফুন্নাহার সুমি জানান, “কিছু কোম্পানি আর টাকা দিতে পারবে না। তাদের অর্থ বাইরে চলে গেছে। আইডিআরএ বিমা রেজ্যুলেশন অ্যাক্ট-২০২৫ পাস হলে গ্রাহকের টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা যাবে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাতের বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখতে এবং গ্রাহকের আস্থা রক্ষায় বকেয়া দাবির সমস্যা দ্রুত সমাধান করা জরুরি।
নতুন কোম্পানিগুলোর দাবির পরিশোধের চিত্র:
জীবন বিমা খাতে নতুন কোম্পানিগুলোর দাবি পরিশোধের ধারা প্রকাশ করেছে খাতের বাস্তব চিত্র। গ্রাহকের দাবির পরিমাণের তুলনায় কিছু কোম্পানি প্রায় সম্পূর্ণ পরিশোধ করতে সক্ষম হয়েছে, আবার কিছু কোম্পানি আংশিক পরিশোধে সীমাবদ্ধ থেকেছে।
নতুন কোম্পানির পরিশোধের চিত্র:
-
আকিজ তাকাফুল লাইফ: ১ কোটি ২৪ লাখ টাকার মধ্যে ১ কোটি ২২ লাখ পরিশোধ।
-
আস্থা লাইফ: ৪ কোটি ৯ লাখ টাকার মধ্যে ৪ কোটি ৮ লাখ পরিশোধ।
-
বেঙ্গল লাইফ: ৪ কোটি ৫ লাখ টাকার মধ্যে ৩ কোটি ৭৮ লাখ পরিশোধ।
-
বেস্ট লাইফ: ১ কোটি ২৭ লাখ টাকার মধ্যে ১ কোটি ১৫ লাখ পরিশোধ।
-
চার্টার্ড লাইফ: ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকার মধ্যে ৩ কোটি ৬৯ লাখ পরিশোধ।
-
ডায়মন্ড লাইফ: ১ কোটি ৯ লাখ টাকার মধ্যে ৮১ লাখ পরিশোধ।
-
গার্ডিয়ান লাইফ: ১৪৬ কোটি ৪ লাখ টাকার মধ্যে ১৩৫ কোটি ৯৫ লাখ পরিশোধ।
-
যমুনা লাইফ: ২ কোটি ৫৬ লাখ টাকার মধ্যে ২ কোটি ৩০ লাখ পরিশোধ।
-
এনআরবি ইসলামী লাইফ: ৬৬ লাখ টাকার মধ্যে ৫৮ লাখ পরিশোধ।
-
প্রটেকটিভ ইসলামী লাইফ: ৪ কোটি ২৪ লাখ টাকার মধ্যে ২ কোটি ৮৮ লাখ পরিশোধ।
-
শান্তা লাইফ: ১ কোটি ৪ লাখ টাকার মধ্যে ৯৯ লাখ পরিশোধ।
-
স্বদেশ লাইফ: ৫২ লাখ টাকার মধ্যে ৪৮ লাখ পরিশোধ।
-
ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ: ৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকার মধ্যে ৩ কোটি ২৯ লাখ পরিশোধ।
-
জেনিথ ইসলামী লাইফ: ২ কোটি ৮৮ লাখ টাকার মধ্যে ২ কোটি ৭৭ লাখ পরিশোধ।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নতুন কোম্পানিগুলোর মধ্যে গার্ডিয়ান লাইফ সবচেয়ে বড় পরিমাণে দাবির পরিশোধ করেছে। অন্যদিকে ছোট ও মাঝারি কোম্পানি আংশিক পরিশোধে সীমাবদ্ধ থেকেছে, যা খাতের সার্বিক আস্থা রক্ষায় এক ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন কোম্পানিগুলোর দাবির দ্রুত এবং পূর্ণাঙ্গ পরিশোধ খাতের প্রতিযোগিতা ও গ্রাহকের আস্থা বৃদ্ধিতে সহায়ক। তবে আংশিক পরিশোধের কোম্পানিগুলোর জন্য খাতের রেগুলেটরি নজরদারি আরও শক্তিশালী করা জরুরি।
পুরোনো কোম্পানিগুলো কতটা দাবির টাকা পরিশোধ করেছে: জীবন বিমা খাতে পুরোনো কোম্পানিগুলোর দাবির পরিশোধের চিত্রও খাতের সার্বিক অবস্থা বোঝাতে সহায়ক। যদিও কিছু কোম্পানি প্রায় পুরো দাবি পরিশোধ করেছে, কিছু কোম্পানির ক্ষেত্রে বকেয়া এখনও নজরকাড়া।
পুরোনো কোম্পানির দাবি পরিশোধের তথ্য:
-
ডেল্টা লাইফ: ২৪১ কোটি ৬৮ লাখ টাকার মধ্যে ১৯৫ কোটি টাকা পরিশোধ।
-
জীবন বীমা করপোরেশন: ২৩৪ কোটি ৩১ লাখ টাকার মধ্যে ১৩৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা পরিশোধ।
-
মেঘনা লাইফ: ৬২ কোটি ৮৬ লাখ টাকার মধ্যে ৫৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা পরিশোধ।
-
ন্যাশনাল লাইফ: ৩০৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকার মধ্যে ২৯১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা পরিশোধ।
-
প্রগতি লাইফ: ৮২ কোটি ৩৭ লাখ টাকার মধ্যে ৭৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা পরিশোধ।
-
প্রাইম ইসলামী লাইফ: ১২৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকার মধ্যে ৬৭ কোটি টাকা পরিশোধ।
-
রূপালী লাইফ: ২৮ কোটি ৪২ লাখ টাকার মধ্যে ২৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা পরিশোধ।
-
সন্ধানী লাইফ: ৪৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার মধ্যে ৪১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা পরিশোধ।
পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, ন্যাশনাল লাইফ, মেঘনা লাইফ ও রূপালী লাইফ প্রায় সম্পূর্ণ দাবি পরিশোধ করেছে, যা গ্রাহকের আস্থা বজায় রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে জীবন বীমা করপোরেশন ও প্রাইম ইসলামী লাইফের বকেয়া তুলনামূলকভাবে বড়, যা খাতের প্রতিযোগিতা ও আস্থা বৃদ্ধিতে চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
কার কত বিমা দাবি বকেয়া: জীবন বিমা খাতে গ্রাহকের দাবির টাকা পরিশোধের বিষয়টি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। নতুন ও পুরোনো কোম্পানির মধ্যে কিছু কোম্পানি প্রায় সম্পূর্ণ পরিশোধ করতে সক্ষম হলেও, বেশ কিছু কোম্পানির কারণে বকেয়া দাবি আকাশছোঁয়া।
নতুন কোম্পানির বকেয়া দাবির তথ্য:
-
আকিজ তাকাফুল লাইফ: ২ লাখ টাকা
-
আস্থা লাইফ: ১ লাখ টাকা
-
বেঙ্গল লাইফ: ২৭ লাখ টাকা
-
বেস্ট লাইফ: ১২ লাখ টাকা
-
চার্টার্ড লাইফ: ৬১ লাখ টাকা
-
ডায়মন্ড লাইফ: ২৮ লাখ টাকা
-
গার্ডিয়ান লাইফ: ১০ কোটি ৯ লাখ টাকা
-
যমুনা লাইফ: ২৫ লাখ টাকা
-
এনআরবি ইসলামী লাইফ: ৭ লাখ টাকা
-
প্রটেকটিভ ইসলামী লাইফ: ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা
-
শান্তা লাইফ: ৫ লাখ টাকা
-
স্বদেশ লাইফ: ৪ লাখ টাকা
-
ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ: ৮ লাখ টাকা
-
জেনিথ ইসলামী লাইফ: ১১ লাখ টাকা
পুরোনো কোম্পানির বকেয়া দাবির তথ্য:
-
ডেল্টা লাইফ: ৪৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা
-
জীবন বীমা করপোরেশন: ৯৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা
-
মেঘনা লাইফ: ৩ কোটি ৬ লাখ টাকা
-
ন্যাশনাল লাইফ: ১২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা
-
প্রগতি লাইফ: ৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা
-
প্রাইম ইসলামী লাইফ: ৫৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা
-
রূপালী লাইফ: ৫৫ লাখ টাকা
-
সন্ধানী লাইফ: ২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা
প্রগতি লাইফের সিইও মো. জালালুল আজিম বলেন, “সার্বিকভাবে জীবন বিমা কোম্পানিগুলোতে ৬৫ শতাংশ বিমা দাবি বকেয়া থাকা ভালো লক্ষণ নয়। এই উচ্চ বকেয়া দাবির জন্য গুটিকয়েক কোম্পানি দায়ী। নিয়ন্ত্রক সংস্থার উচিত এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।”
তিনি আরও বলেন, “কিছু কোম্পানি পুরো খাতের পরিবেশ নষ্ট করছে। তারা ঠিকমতো গ্রাহকের দাবির টাকা পরিশোধ না করলে পুরো সেক্টরে আস্থা সংকট তৈরি হয়। যতদিন এসব কোম্পানি দাবির টাকা পরিশোধ করতে পারবে না, ততদিন তাদের নতুন পলিসি ইস্যু করা উচিত হবে না।”
প্রগতি লাইফের পরামর্শ, “সমস্যাগ্রস্ত কোম্পানিগুলোকে মার্জ করে একটি কোম্পানি গঠন করা যেতে পারে। পরিকল্পনামাফিক এটি করা সম্ভব হলে খাতের স্থিতিশীলতায় সহায়ক হবে। এক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোকে মার্জ করে ব্যাংকের মতো সরকার থেকে অর্থসহায়তা দেওয়া প্রয়োজন।”
আইডিআরএর মুখপাত্র সাইফুন্নাহার সুমি জানান, “যে বিমা দাবি বকেয়া রয়েছে তার মধ্যে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি ফারইস্ট লাইফের, যাদের কাছে কোনো টাকা নেই। এর বাইরে আরও পাঁচ-ছয়টি কোম্পানির কারণে অপরিশোধিত দাবি বেশি হচ্ছে। তারা আর টাকা দিতে পারবে না, অর্থ বাইরে চলে গেছে। আইডিআরএ বিমা রেজ্যুলেশন অ্যাক্ট-২০২৫ পাস হলে গ্রাহকের টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।”

