ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সিজারিয়া শহরের বাসভবনে সম্প্রতি একটি ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। বর্তমান বিশ্বে রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে হিংসাত্মক মনোভাবের তালিকায় নেতানিয়াহুর নাম শীর্ষে অবস্থান করে। শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে এই হামলার খবরটি নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে একটি বিবৃতির মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়।
হামলার পরের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এই ঘটনা ঘটে ঠিক একদিন পরে যখন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত হন। হামলার এই সময় হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া বা বক্তব্য পাওয়া যায়নি, যা পরিস্থিতির জটিলতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার সকালে ভূমধ্যসাগর উপকূলবর্তী সিজারিয়ায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) জানিয়েছে, এটি সম্ভবত লেবানন থেকে উৎক্ষেপিত একটি ড্রোনের হামলা। ওই ড্রোনগুলোর মধ্যে একটি ড্রোন বিশেষভাবে নেতানিয়াহুর বাসভবনকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালায়। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রী হামলার সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন না এবং এই হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
গত ১৭ অক্টোবর ইয়াহিয়া সিনওয়ার ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত হন। ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজায় ‘ঘর থেকে ঘরে’ অভিযান চালিয়ে সিনওয়ারকে হত্যা করেছে। এ সময় ভয়াবহ বন্দুকযুদ্ধের মধ্যে তিনি প্রাণ হারান, যদিও তিনি ইসরায়েলি বাহিনীকে ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
আইডিএফের রিপোর্ট অনুযায়ী, গাজার ওই অঞ্চলে ৮২৮ তম ব্রিগেডের (বিসলাচ) সেনারা তিনজন সন্ত্রাসীকে চিহ্নিত করে হত্যা করে। পরে দেহ শনাক্তকরণ শেষ হলে নিশ্চিত হয় যে তারা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যা করেছে। এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে ড্রোন হামলার ঘটনায় নিরাপত্তার পরিপ্রেক্ষিত আরও সংকটজনক হয়ে উঠেছে, যা মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য এক চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিতে পারে।
এখন বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি এই ঘটনার প্রতি, বিশেষ করে ইসরায়েলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও হিজবুল্লাহর প্রতিক্রিয়া কী হবে তা নিয়ে।