সোমবার উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশারের উত্তরে অবস্থিত আবু শৌক শিবিরে সশস্ত্র গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় ইমারজেন্সি রেসপন্স রুম জানায়, সশস্ত্র সদস্যরা ঘরবাড়ি ও রাস্তায় নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অন্তত ৪০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত করেছে। আহত হয়েছেন আরো ১৯ জনের বেশি।
আরএসএফ ২০২৪ সালের মে থেকে এল-ফাশার শহর অবরোধ করে রেখেছে। এল-ফাশার উত্তর দারফুরে সুদানি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন শেষ প্রধান কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত। হামলার সময় আরএসএফ সদস্যরা বাস্তুচ্যুত দুর্ভিক্ষপীড়িতদের আবাসস্থলে তাণ্ডব চালায়।
স্থানীয় গণতন্ত্রপন্থী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেজিস্ট্যান্স কমিটি নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করে এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায়। তারা এটি ‘নিরস্ত্র ও নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে সংঘটিত এক ভয়াবহ নৃশংসতা’ বলে অভিহিত করেছে।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে সংঘাত চলমান রয়েছে। এ সংঘাতে এখন পর্যন্ত প্রায় দশ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এবং কয়েক মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। জাতিসংঘের বর্ণনায়, দারফুর বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম বাস্তুচ্যুতি ও দুর্ভিক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল হিসেবে পরিণত হয়েছে।
এই হামলা এবং দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত সুদানের স্থিতিশীলতা ও মানবিক পরিস্থিতির ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

