ফিলিস্তিন-২ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে অধিকৃত ইয়াফা অঞ্চলের আল-লিদ্দ বিমানবন্দরে সফল হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী। বুধবার (২৭ আগস্ট) পরিচালিত এ সামরিক অভিযানে বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায় এবং হাজারো মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটতে বাধ্য হতে হয়।
সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি দাবি করেন, গাজার ওপর অবরোধ, দুর্ভিক্ষ ও চলমান আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়াতেই এ হামলা চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, জাতিসংঘ যখন গাজার মানবিক সংকটকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে, তখন বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
ইয়েমেনি বাহিনী এ হামলাকে ফিলিস্তিনি জনগণ ও প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতি ‘ধর্মীয় ও নৈতিক দায়িত্ব’ বলে অভিহিত করেছে। একই সঙ্গে আরব ও ইসলামি দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, যেন তারা গাজার গণহত্যা ও অবরোধ বন্ধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
বিবৃতিতে ইয়েমেনকে ‘ঈমান ও প্রতিরোধের দেশ’ হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়, যত চ্যালেঞ্জই আসুক না কেন, ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান থেকে ইয়েমেন সরে যাবে না। ইয়াহিয়া সারির ভাষায়, “গাজার পাশে আছি যতদিন না অবরোধ তুলে নেওয়া হয় এবং আগ্রাসন বন্ধ হয়।”