ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ‘বেপরোয়া’ কৌশল অবলম্বন করছে। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, এ তিন দেশের ওয়াশিংটনের সঙ্গে জোটবদ্ধতা বিশ্বজুড়ে ইউরোপের অবস্থানকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
আরাগচি যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানে বলেন, ইউরোপের এ তিনটি দেশ—ই-থ্রি—ইরানের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে, যা তার মতে কোনো আইনি ভিত্তি ছাড়াই নেওয়া হচ্ছে এবং ব্যর্থ হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরান নয় বরং যুক্তরাষ্ট্র ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তা থেকে সরে দাঁড়িয়েছে, অথচ এ সত্য ই-থ্রি উপেক্ষা করছে।
২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন নিষেধাজ্ঞার পর ইউরোপীয় নেতারা ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যা বাস্তবায়িত হয়নি। আরাগচি মনে করিয়ে দেন, মার্কিন চাপের কারণে ইউরোপের ‘কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের’ প্রতিশ্রুতি ভেঙে পড়েছে।
তিনি আরো বলেন, তেহরান আলোচনার দরজা এখনও খোলা রেখেছে। ইরান বাস্তবসম্মত ও স্থায়ী আলোচনায় প্রস্তুত, যার মধ্যে কঠোর নজরদারি এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণের ওপর নিয়ন্ত্রণ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
ই-থ্রি ২০২৩ সালের আগস্টে ৩০ দিনের প্রক্রিয়া শুরু করে ইরানের বিরুদ্ধে ‘গুরুতর লঙ্ঘনের’ অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে চেয়েছে। আর এ উদ্যোগের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রও স্বাগত জানিয়েছে।