ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি দীর্ঘদিন ধরে জনগণের কাছে দাবি করছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্র বা ইস্রায়েলের সঙ্গে কোনো যুদ্ধ হবে না। কিন্তু এই দাবি ভেঙে পড়ে, যখন জুন মাসে ১২ দিনের সংঘর্ষে এক হাজারের বেশি ইরানি নিহত হন।
বর্তমানে তিনি সতর্ক করেছেন, দেশটি “যুদ্ধ নয়, শান্তিও নয়” এমন এক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার দিকে এগোচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতি খামেনির পরিচিত শৈলীর সঙ্গে মিলে যায়, যেখানে কঠিন সিদ্ধান্ত এড়ানো হয়। সাম্প্রতিক রদবদলগুলো কেবল ভেতরের দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে আড়াল করছে, কৌশলগত পুনর্বিবেচনার কোনো স্পষ্ট সংকেত দিচ্ছে না।
এছাড়া, আলোচনা ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা স্থবির অবস্থায় থাকায় তেহরানের অনেক কর্মকর্তা এখনও বিশ্বাসে আছেন যে চীন ও রাশিয়া পশ্চিমা চাপ থেকে ইরানকে রক্ষা করবে।
বিশ্লেষকরা এটিকে “কৌশল নয়, আশা মাত্র” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এর ফলে ইরানের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে সেই শক্তিগুলোর উপর, যারা বারবার প্রমাণ করেছে যে তারা তেহরানের জন্য বড় ঝুঁকি নেওয়ার প্রস্তুত নয়।