ইউক্রেনে শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাতজুড়ে রাশিয়া ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে দেশটির জ্বালানি স্থাপনা, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর ব্যাপক আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া। এই ধারাবাহিক হামলায় হাজার হাজার পরিবার শীতের মধ্যেই জরুরি তাপ ও পানি সরবরাহ হারিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
কিয়েভভিত্তিক বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সর্বশেষ এই বিমান হামলা এমন সময়ে ঘটল, যখন ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদল টানা তৃতীয় দিনের মতো ফ্লোরিডায় মার্কিন আলোচকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে। প্রায় চার বছর ধরে চলা যুদ্ধের ইতি টানতে যুক্তরাষ্ট্র যে পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছে, তা নিয়েই মূলত আলোচনা চলছে।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানায়, রাতভর দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে রাশিয়া ৬৫৩টি ড্রোন এবং ৫১টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, হামলার মূল লক্ষ্য ছিল আবারও জ্বালানি স্থাপনাগুলো—রাশিয়ার উদ্দেশ্য হলো লাখ লাখ মানুষের ওপর নতুন করে দুর্ভোগ চাপিয়ে দেওয়া।
জেলেনস্কি আরো জানান, একটি রুশ ড্রোন হামলায় কিয়েভ থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলীয় ফাস্তিভ শহরের প্রধান রেলস্টেশন ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। যদিও ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় রেল জানিয়েছে, এতে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি, তবে শহরতলির ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে।
কিয়েভ কর্তৃপক্ষের মতে, রাতভর হামলায় চেরনিগিভ, জাপোরিঝিয়া, লভিভ ও দনিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চলের জ্বালানি স্থাপনাগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুনর্গঠন মন্ত্রী ওলেক্সি কুলেবা জানান, ওডেসা অঞ্চলে অন্তত ৯ হাজার ৫০০ গ্রাহক তাপ সরবরাহ থেকে বিচ্ছিন্ন এবং আরও ৩৪ হাজার মানুষ পানি সরবরাহ হারিয়ে ভুগছেন।
হামলার পরপরই জরুরি সমন্বয় সভা আহ্বান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া সভিরিদেনকো, যা তিনি এক্স প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ করেছেন।

