‘চিহ্ন চতুষ্টয়’ (দ্য সাইন অব দ্য ফোর) হলো স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের রচিত বিখ্যাত ধারাবাহিক উপন্যাস শার্লক হোমস সিরিজের দ্বিতীয় উপন্যাস; যা ১৮৯০ সালে প্রকাশিত হয়। শার্লক হোমসকে নিয়ে সব মিলিয়ে ৪টি উপন্যাস, আর ৫৬টি ছোট গল্প লিখেন ডয়েল।
গল্পটি শুরু হয় ১৮৮৮ সালে।১ চিহ্ন চতুষ্টয় লেখা হয় একটি হারানো গুপ্তধন এবং ৪জন ভারতীয় কয়েদি ও দুই জন কারারক্ষির মধ্যে হওয়া একটি চুক্তিকে কেন্দ্র করে। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহও এই উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। এই উপন্যাসেই প্রথম শার্লক হোমসের মাদকের প্রতি আসক্ততা প্রকাশ পায়। তার সহযোগী ড. জন ওয়াটসনের স্ত্রী ম্যারী মরস্ট্যানের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় এই উপন্যাসে।
সার-সংক্ষেপ

১৯৮৮ সালে ওয়াটসনের স্ত্রী ম্যারী মরস্তান শার্লকের কাছে কিছু রহস্য নিয়ে আসেন। প্রথম, তার পিতা ক্যাপ্টেন আর্থার মরস্ট্যানের অজ্ঞাত হওয়া, যিনি ছিলেন ব্রিটিস ভারতীয় সেনাবাহিনীর অফিসার। ম্যারী হোমসকে বলেন যে তিনি তার পিতার একটি টেলিগ্রাফ পেয়েছেন, যেখানে তিনি বলেছেন যে তিনি ভারত থেকে ইংল্যান্ডে ফিরে এসেছেন এবং ম্যারীকে লন্ডনের ল্যাংহাম হোটেলে দেখা করার জন্য বলেন। যখন ম্যারী পিতার সাথে দেখা করতে ল্যাংহাম হোটেলে উপস্থিত হন তখন তিনি জানতে পারেন যে তার পিতা গত রাতে বেরিয়ে গেছেন এবং আর ফিরে আসেন নি। অনেক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তার পিতার কোনো সন্ধার লাভ করা সম্ভব হচ্ছিল না। তখন ম্যারী তার পিতার বন্ধু মেজর জন সলতো (অবসরপ্রাপ্ত অফিসার ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী) এর সাথে যোগাযোগ করেন। কিন্তু তিনিও তার পিতার ইংল্যান্ডে ফিরে আসার সত্যতা অস্বীকার করেন।
২য় রহস্য ছিল যে ম্যারী মরস্তান, অজ্ঞাত কারো কাছ থেকে চিঠির মাধ্যমে ৬টি মুল্যবান মুক্তা উপহার পান। যে মুক্তাগুলো তিনি ১৮৮২ সাল থেকে প্রতি বছর একটি করে পাচ্ছিলেন। ম্যারী যখন ১৮৮৮ সালে এই অজ্ঞাত লোকের সাথে দেখা করার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেন। তার পরের দিন তিনি আরও একটি মুক্তা ও একটি চিঠি পান। যেখানে লেখা ছিল যে, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া তার জন্য একটি বিরাট ভুল ছিল। এই নিয়ে মূলত গল্পটি শুরু হয় এবং পরবর্তীতে আরও নতুন রহস্যের সৃষ্টি এবং রহস্যের উন্মোচন করে।

