‘জল জোছনা’ বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান বাংলাদেশী কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের একটি জনপ্রিয় উপন্যাস। উপন্যাসটি ১৯৯৩ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। বইটির প্রকাশক হাসান জায়েদী। প্রকাশনা সংস্থা পার্ল পাবলিকেশন। বইটির গ্রন্থস্বত্ব লেখকের অর্থাৎ হুমায়ূন আহমেদের।
পটভূমি
বড় মাপের লেখকদের মধ্যে সমসাময়িকতা কমই দেখা যায়। বিশ্বসাহিত্যের অধিকাংশ বড় লেখক নিকট বা দূর অতীতের আবহে কাহিনী ফাঁদতে পছন্দ করেন। হুমায়ূন আহমেদ এ ক্ষেত্রে একজন ব্যতিক্রমী লেখক। তিনি অহরহ সমসাময়িক সমস্যা বা ঘটনাকে তার কাহিনীর কেন্দ্রস্থলে স্থাপন করেছেন যাকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে মূল বয়ান এবং চরিত্রসমূহ। জল জোছনা উপন্যাসের কেন্দ্রে রয়েছে বাংলাদেশের সড়ক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিরাজমান নৈরাজ্য, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনিশ্চয়তা ও দুর্বৃত্তরে দাপট। এই ঘটনাকে ঘিরে হুমায়ূন আহমেদ মানব চরিত্রের নানা দিকের ওপর আলোকপাত করেছেন। এই চরিত্র বিশ্বজনীন, চিরায়ত।
কাহিনী সংক্ষেপ
মনজুর একজন কোটিপতি ব্যবসায়ী। ব্যবসার কাজেই তার সময়গুলো চলে যায়। ব্যবসার কাজের জন্যই সে তার পরিবারকে সময় দিতে পারে না। এ নিয়ে মনজুরের স্ত্রী রেবেকার মনে ক্ষোভ রয়েছে। মাঝে মাঝেই রেবেকা, নিতু ও জহির বেড়াতে যায়। দিনাজপুর যাওয়ার সময় নিতু তার বাবাকে রাজি করায় তাদের সাথে যাওয়ার জন্য। কিন্তু আরিচা পার হওয়ার পড়ে তারা ঝামেলায় ফেঁসে যায়। কিছুক্ষণ আগে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ভাই বোন মারা যায়। তাদের এ মৃত্যু নিয়ে নিয়ে গ্রামবাসীর মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। আর এরই সুযোগ নিতে চলে আসে এক স্বার্থান্বেষী চক্র। সেই চক্রের প্রধান এক বুড্ডা গ্রামবাসীকে উস্কে দেয়। তারা গাড়ি ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে মনজুর চক্রের প্রধানকে হত্যা করে।

