পবিত্র রমজান মাসের দ্বিতীয় দশক, অর্থাৎ ১০ থেকে ২০ রোজা, মুমিনদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। ইসলামি শিক্ষায় এই দশককে মাগফিরাতের (ক্ষমার) সময় বলা হয়েছে। এই সময় আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ করে দেন- যদি তারা আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করে।
দ্বিতীয় দশকের ফজিলত-
হাদিসে এসেছে, রমজান মাসের তিন ভাগের মধ্যে প্রথম দশক রহমতের, দ্বিতীয় দশক মাগফিরাতের এবং শেষ দশক নাজাতের (জাহান্নাম থেকে মুক্তির) জন্য নির্ধারিত।
হজরত সালমান ফারসি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন—এই মাসের প্রথম অংশ হলো রহমত, মধ্যভাগ মাগফিরাত এবং শেষ ভাগ জাহান্নাম থেকে মুক্তি। (সুনান ইবন খুজাইমা)
দ্বিতীয় দশকের বিশেষ আমল-
রমজানের দ্বিতীয় দশকে মুমিনদের উচিত বেশি করে ইস্তিগফার করা এবং আল্লাহর কাছে গুনাহের জন্য ক্ষমা চাওয়া। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলতেন—
اَسْتَغْفِرُ اللَّهَ رَبِّي مِنْ كُلِّ ذَنْبٍ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
(অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে আমার সমস্ত গুনাহের জন্য ক্ষমা চাই এবং তাঁর দিকে ফিরে যাই।)
এ সময় বেশি বেশি নফল ইবাদত করা, কোরআন তিলাওয়াত, দরুদ পাঠ ও দোয়া করার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
মাগফিরাতের বিশেষ দোয়া-
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন—
“যে ব্যক্তি রমজান মাসে ইবাদত করবে এবং আন্তরিকভাবে তওবা করবে, তার সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।” (সহিহ বোখারি)
একটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া:
اللهم اغفر لي وارحمني واهدني وعافني وارزقني
(হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন, দয়া করুন, হিদায়াত দিন, সুস্থতা দান করুন এবং রিজিক বৃদ্ধি করুন।)
রমজানের এই মধ্যম দশককে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে বেশি করে ইস্তিগফার, দান-সদকা ও নামাজ পড়লে আল্লাহর মাগফিরাত লাভের আশা করা যায়।
- সংকলক: এফ.আর. ইমরান

