পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে ১০দিন। বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমানের মতো বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরাও ইতোমধ্যে রোজা পালন শুরু করেছেন। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব পানাহার ও ভোগ-বিলাস থেকে বিরত থেকে আত্মসংযমের মাধ্যমে পালন করা হয় এই রোজা।
রমজান শুধু একটি উপবাসের সময় নয়- এটি আত্মশুদ্ধি, সহানুভূতি, ধৈর্য, ত্যাগ ও আত্মত্যাগের প্রশিক্ষণের মাস।
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, এ মাসে কোরআন শরিফ নাজিল হয়। মুসলমানরা ইবাদত-বন্দেগি, কোরআন তেলাওয়াত, তারাবি নামাজ, জাকাত ও দান-খয়রাতের মাধ্যমে এ মাসকে আরো তাৎপর্যময় করে তোলেন।
এ মাসে ইফতারকে ঘিরে দেখা যায় পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধনের দৃশ্য। রমজান মাসে সমাজের বিত্তবানরা দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ায়- জাকাত, ফিতরা, ও নানা দান-অনুদান মাধ্যমে। এতে সমাজে অর্থনৈতিক ভারসাম্য গড়ে ওঠে- সৃষ্টি হয় সহমর্মিতার পরিবেশ।
নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমজান সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস বলেছেন-
হাদিস (আরবি):
قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
“مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ”
-সহীহ বুখারী, হাদীস: ৩৮বাংলা অনুবাদ:
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
“যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে এবং সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখে, তার পূর্বের সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।”
রমজান শেষে আসে ঈদুল ফিতর। যা আত্মশুদ্ধির পুরস্কারস্বরূপ আনন্দের উৎসব হিসেবে পালিত হয়। তবে এ আনন্দের আগে পুরো এক মাস রোজা পালনের মাধ্যমে মুসলমানরা নিজেদের শারীরিক ও আত্মিক পরিশুদ্ধির পথে এগিয়ে যান।
রমজানের এই মহিমান্বিত সময়ে সামাজিক সচেতনতা, আত্মশৃঙ্খলা ও একে অপরের প্রতি সহানুভূতির বার্তা নিয়ে আসে এই মাস। তাই রমজান শুধু ধর্মীয় নয় বরং মানবিক গুণাবলি চর্চার এক মহত্তম সুযোগ হিসেবেও বিবেচিত।
- সংকলক: এফ.আর. ইমরান

