ইসলামিক শরীয়ত অনুযায়ী, রমজান মাসে সেহরি ও ইফতার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তা আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি বিশেষ মাধ্যম। ইফতার এমন এক সময়, যখন রোজাদার আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত লাভের জন্য সাধ্যমতো দোয়া করতে পারেন। পবিত্র কুরআনে ইফতারের ফজিলত সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে এবং হাদিসেও ইফতারের সময়ের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
ইফতারের ফজিলত-
আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত: রোজা ভঙ্গ করার সময় আল্লাহর বিশেষ রহমত বর্ষিত হয়। হাদিসে এসেছে, “রোজাদারের জন্য দুইটি আনন্দের সময় রয়েছে:
- যখন সে ইফতার করবে
- যখন সে তার রবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।” (বুখারি)
দোয়ার সময়: ইফতারের সময় আল্লাহতায়ালা তাঁর বান্দাদের দোয়া কবুল করেন। নবী (সা.) বলেছেন, “রোজাদার ব্যক্তির দোয়া অগ্রাহ্য হয় না, বিশেষত: ইফতারির সময়।” (ইবনে মাজাহ)
স্বাস্থ্য উপকারিতা: রোজা রাখার মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের বিশ্রাম হয় এবং ইফতারের মাধ্যমে শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি ফিরে পায়। এটি শরীরের জন্য উপকারী হতে পারে যদি সঠিকভাবে ইফতার করা হয়।
আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য: সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতার একটি আত্মবিশ্বাসের মুহূর্ত। যা রোজাদারকে আরো ধৈর্যশীল ও মনোনিবেশিত করে তোলে। এটি মানসিক প্রশান্তি নিয়ে আসে।
গুনাহ মাফের সুযোগ: রোজার শেষে ইফতার করার মাধ্যমে গুনাহ মাফ হওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়- যা একজন মুসলমানের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার একটি বিশেষ মুহূর্ত।
সদকা ও দান: রোজাদাররা ইফতার সময় প্রচুর সদকা, দান ও সাহায্যের মাধ্যমে অন্যদের সহযোগিতা করে থাকেন, যা তাদের আরো বেশি সওয়াব এনে দেয়।
ইফতার শুধুমাত্র খাবার খাওয়ার সময় নয়, এটি একটি মুহূর্ত যেখানে মুসলমানরা তাদের দোয়ায় মনোযোগী হয়ে- আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত কামনা করেন এবং সর্বোপরি নিজেদের নফসকে পরিশুদ্ধ করেন।
- সংকলক: এফ.আর. ইমরান

