আজ বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী প্রতি বছর ১২ ভাদ্র (বাংলা) এবং ২৯ আগস্ট (ইংরেজি) তারিখে পালিত হয়। ১৯৭৬ সালের এই দিনে তিনি ঢাকা পিজি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে সমাহিত করা হয়।
নজরুল ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে, ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দ) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ এবং মাতা জাহেদা খাতুন। ছোটবেলায় তার ডাকনাম ছিল ‘দুখু মিয়া’।
নজরুল বাংলা সাহিত্যের বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত। তিনি কবিতা, গান, উপন্যাস, গল্প, নাটক, প্রবন্ধ ও চলচ্চিত্রে নিজস্ব ছাপ রেখেছেন। সাংবাদিক, গায়ক এবং অভিনেতা হিসেবেও তার অবদান লক্ষ্যণীয়। তার অজস্র রাগ-রাগিনী সংগীতে অমরত্বের আসনে অধিষ্ঠিত।
প্রেম, দ্রোহ, সাম্যবাদ ও জাগরণের কবি নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রামে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধে তার গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। নজরুলের সাহিত্যকর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিল এবং তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ হিসেবে চিরস্মরণীয়।
মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচি-
কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন শিল্পী, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে:
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসংলগ্ন কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ
- ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মাহফিল
- আলোচনাসভা
- সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবি নজরুলকে সপরিবারে ঢাকায় আনা হয় এবং তাকে জাতীয় কবির মর্যাদা দেওয়া হয়। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি প্রদান করে। একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন।