Close Menu
Citizens VoiceCitizens Voice
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp Telegram
    Citizens VoiceCitizens Voice Mon, Dec 8, 2025
    • প্রথমপাতা
    • অর্থনীতি
    • বাণিজ্য
    • ব্যাংক
    • পুঁজিবাজার
    • বিমা
    • কর্পোরেট
    • বাংলাদেশ
    • আন্তর্জাতিক
    • আইন
    • অপরাধ
    • মতামত
    • অন্যান্য
      • খেলা
      • শিক্ষা
      • স্বাস্থ্য
      • প্রযুক্তি
      • ধর্ম
      • বিনোদন
      • সাহিত্য
      • ভিডিও
    Citizens VoiceCitizens Voice
    Home » ভুল স্বীকার: রাজনীতির অবসান নাকি সুযোগ?
    মতামত

    ভুল স্বীকার: রাজনীতির অবসান নাকি সুযোগ?

    এফ. আর. ইমরানOctober 10, 2025Updated:October 10, 2025
    Facebook Twitter Email Telegram WhatsApp Copy Link
    ছবি: প্রথম আলো
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Telegram WhatsApp Email Copy Link
    মহিউদ্দিন আহমদের কলাম—

    রাজনীতি একটি শাস্ত্র বটে। কিন্তু শাস্ত্র মেনে রাজনীতি হয় না। এর নিজস্ব একটি ভাষা আছে। যাঁরা রাজনীতি করেন, তাঁদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, পছন্দ-অপছন্দ, অনুরাগ-বিরাগ ইত্যাদি অনেকটাই নির্ধারণ করে দেয় রাজনীতি কোন পথে, কোন ছন্দে, কোন গতিতে চলবে।

    রাজনীতি করতে তাই পলিটিক্যাল সায়েন্স বা রাজনীতিবিজ্ঞানের ডিগ্রি না হলেও চলে। এমনকি বকলম হলেও অসুবিধা নেই। আমাদের নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের জন্য আবেদনপত্রে কয়েকটি তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে। তার মধ্যে একটি হলো শিক্ষাগত যোগ্যতা। এই যোগ্যতার অর্থ হলো, প্রার্থীর পড়াশোনা কোন স্তরের, তিনি কী ডিগ্রি পেয়েছেন। কেউ কেউ তথ্য পূরণ করতে গিয়ে উল্লেখ করেছেন, তিনি ‘স্বশিক্ষিত’। কথাটা জুতসই। ডিগ্রির একটা বাজারমূল্য আছে। কোনো ডিগ্রি নেই—এ কথা জানাজানি হয়ে গেলে ভাবমূর্তির সংকট হতে পারে। তাই স্বশিক্ষিত বলা। কেউ কেউ অবশ্য ফান করেও এটা লিখতেন।

    রাজনীতির লাইসেন্স নেয় যারা, আমরা তাদের বলি রাজনৈতিক দল। দলের এক বা একাধিক শাস্ত্র আছে। দল কীভাবে চলবে, সে জন্য আছে গঠনতন্ত্র বা দলীয় সংবিধান। দল কী চায়, কোথায় যেতে চায়, সে জন্য আছে ঘোষণাপত্র। পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ও পবিত্র শব্দমালায় সাজানো হয় এই ঘোষণাপত্র। এখানেই শেষ নয়। নির্বাচন এলে নতুন করে অনেক কিছু বলতে হয়। এর নাম ইশতেহার বা ইস্তাহার, যে বানানেই লেখা হোক না কেন। সেখানে থাকে একটি প্রলম্বিত মুখবন্ধ বা ভূমিকা। সেখানে বলা হয়, এই একটিমাত্র দল, যারা ধরায় এসেছে ত্রাতার ভূমিকায়। তারাই মানুষের সত্যিকারের বন্ধু। বাকি সবাই শত্রু। এরপর থাকে প্রতিশ্রুতির এক দীর্ঘ তালিকা।

    দলগুলোকে মোটাদাগে দুভাগ করা যায়—পুরোনো ও নতুন। পুরোনো দলগুলো তুলে ধরে তাদের অতীতের কাজকারবারের ফিরিস্তি। কখনো ক্ষমতায় গিয়ে থাকলে তার অর্জন আর সফলতার বয়ান। সেখানে সবকিছু ভালো। তারা কখনো কোনো খারাপ কাজ করেনি। কাউকে কষ্ট দেয়নি। কোনো কটুকথা বলেনি। সরকারি দপ্তরে কোনো ফাইল আটকে থাকেনি। চারদিকে শুধু সুখ আর সুখ। তাদের বিরুদ্ধে কোনো খারাপ কাজের অভিযোগ থাকলে সেটি হচ্ছে দুষ্ট লোকের অপপ্রচার।

    দল পুরোনো, কিন্তু ক্ষমতার উঠানে কিংবা বারান্দায় হাঁটাহাঁটি করলেও খাসকামরায় কখনো ঢুকতে পারেনি, তাদের ওয়াজ এ রকম: নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হওয়ায় আমরা হেরেছি বা আমাদের হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা যদি একবার ক্ষমতায় যেতে পারি, তাহলে দেশটা সোনায় মুড়ে দেব। দেশে কোনো সমস্যা থাকবে না। চারদিকে শুধু শান্তি আর শান্তি।

    কেউ কেউ এ কথাও বলেন, এই ঘুণে ধরা বুর্জোয়া সমাজে গরিবের সরকার হবে না। তাই বিপ্লব করতে হবে। এ দেশে বিপ্লবীর সংখ্যা মশা-মাছির চেয়েও বেশি। এমন কোনো বছর নেই, যে বছর বিপ্লবীদের দল ভাঙেনি। তারা অনবরত ভাঙে। তারপর ভাঙা টুকরাগুলো মিলে ঐক্য গড়ে, জোট বানায়। সেই জোট আবার ভাঙে। একেকটা টুকরা নানান ‘বুর্জোয়া’ দলের সঙ্গে জোটে। কারণ হিসেবে বলে, এটা হচ্ছে কৌশলগত ঐক্য। ওই যে মাও সে–তুং একদা চিয়াং কাইশেকের সঙ্গে ঐক্য করেছিলেন!

    একেবারে আনকোরা দল আছে কিছু। তাদের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা নেই। এরা আগে কোনো দলের সঙ্গেও ছিল না। তারা রাজনীতির জলে সাঁতার কাটছে। হাবুডুবু খাচ্ছে। অতল জলে পায়ের নিচে মাটি পাচ্ছে না। তাদের কারও কারও অতীতে কালো দাগ নেই। রাজনীতির কূটচালে অভিজ্ঞতা নেই। কখন কী বলতে হয়, জানে না। একদিন মুখ ফসকে একটা কথা বলে ফেলে। পরদিন বুঝতে পেরে বলে উল্টো কথা।

    আমাদের দেশে একটা গোষ্ঠী আছে। আমরা তাদের বলি ফেসবুকার বা টিকটকার। তারা বেশ সেয়ানা। এই একটা প্রযুক্তি, যেখানে আমাদের কিশোর-তরুণদের পারঙ্গমতা সিলিকন ভ্যালি কিংবা নাসার বিজ্ঞানীদেরও হার মানায়! কে, কবে, কোথায় কী বলেছে, তার রেকর্ড রেখে দেয়। সুযোগমতো সেটা ছড়িয়ে দেয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

     আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ার কথা কী আর বলব! এখানে যত ‘অসামাজিক’ কাজ হয়, তাতে অ্যান্টিসোশ্যাল মিডিয়া নাম দিলেও ভুল হবে না। এটা এমন একটা প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কে কাকে ওঠাবে, নামাবে, বাঁচাবে, ঠেঙাবে, মারবে বলা মুশকিল।

    একটা উদাহরণ দিই। ধরুন, আমি একটা লেখা লিখেছিলাম ১২ বছর আগে। এখন লিখছি অন্য রকম। তো এক ফেসবুকার আমার টুঁটি চেপে ধরল—তুমি তখন ওই কথা বলেছ, এখন কেন এ কথা বলো? এই ১২ বছরে যে কত বই, কত তথ্য-উপাত্ত হাতের নাগালে এসেছে এবং সেসব জেনে-বুঝে আমি যে আগের চেয়ে অনেক বেশি সমৃদ্ধ হয়েছি, এটা তাকে বোঝাই কী করে? কারণ, সে তো বদ্ধ জলাশয়ের জীব। সেখানে স্রোত নেই। তাই সে মননে-মগজে বাড়ে না। স্কুলে ক্লাস সেভেনে উঠে আমি অ্যালজেব্রা শিখতে শুরু করি। আমাকে কেউ যদি বলে, তুমি ক্লাস ফোরে কেন এটা শিখলে না!

    এখানে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রসঙ্গ এসে যায়। একটা দল একসময় ক্ষমতায় ছিল। ওই সময় দলটি অনেক ভুল করেছে, খারাপ কাজ করেছে। দলটি এখনো রাজনীতি করে। আবারও ক্ষমতায় যেতে যায়। ক্ষমতায় গিয়ে আবারও সে খারাপ কাজগুলো করবে না, তার কী নিশ্চয়তা আছে? এখানে দলকে আত্মবিশ্লেষণ করতে হয়। কাজ করতে গেলে ভুলভ্রান্তি হতে পারে। যে কাজ করে না, তার ভুল হয় না। তো ভুল হয়ে থাকলে সেটি স্বীকার করতে সমস্যা কোথায়?

    আমাদের রাজনীতিবিদদের মধ্যে একধরনের মনস্তত্ত্ব কাজ করে। তাঁরা মনে করেন, ভুল স্বীকার করলে বুঝি তাঁর রাজনীতি শেষ হয়ে যাবে। এটা একটা ভ্রান্ত ধারণা। মানুষ আসলে দেখতে চায়, কেউ ভুল করে থাকলে সে তার ভুল স্বীকার করুক, অনুতপ্ত হোক।

    বলুক, এ রকম ভুলের আর পুনরাবৃত্তি হবে না। রাজনৈতিক নেতারা সে পথে হাঁটেন না। তাঁদের কাছে তাঁদের অতীত পূর্ণিমার জোছনায় উজ্জ্বল। সেখানে কৃষ্ণপক্ষ নেই। মানুষ তো কিছুই ভোলে না। সে ধরেই নেয়, ওই দল, ওই নেতা মিথ্যাচার করছে। এটা যে দলের নেতারা বোঝেন না, তা নয়। কিন্তু তাঁদের মনে ভয়, ভুল স্বীকার করলে রাজনীতিতে ‘আউট’ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।

    সমাজে নতুন-পুরোনোর দ্বন্দ্ব চিরন্তন। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা। একদা যে তরুণ মানুষের জন্য, দেশের জন্য অকাতরে প্রাণ দিতে ইতস্তত করেনি, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তার মধ্যে পরিবর্তন দেখা দেয়। একসময় তার মগজে জং ধরে যায়। সে হয়ে ওঠে মিথ্যাবাদী, লোভী, দুর্বৃত্ত, ক্ষমতালিপ্সু, অত্যাচারী। তারপরও আমাদের আশা আর ভরসা তরুণদের ওপরেই। যুগে যুগে তারাই আলো হাতে এসেছে আমাদের মতো আঁধারের যাত্রীদের পথ দেখাতে। তাদের নিয়ে সুকান্ত ভট্টাচার্য লিখেছেন ‘ঐতিহাসিক’ নামে একটি কবিতা। সেখানে তিনি বলছেন:

    মূর্খ তোমরা

    লাইন দিলে: কিন্তু মুক্তির বদলে কিনলে মৃত্যু,

    রক্তক্ষয়ের বদলে পেলে প্রবঞ্চনা।

    ইতিমধ্যে তোমাদের বিবদমান বিশৃঙ্খল ভিড়ে

    মুক্তি উঁকি দিয়ে গেছে বহুবার।

    লাইনে দাঁড়ানো আয়ত্ত করেছে যারা,

    সোভিয়েট, পোল্যান্ড, ফ্রান্স

    রক্তমূল্যে তারা কিনে নিয়ে গেল তাদের মুক্তি

    সর্বপ্রথম এই পৃথিবীর দোকান থেকে।

    এখনও এই লাইনে অনেকে প্রতীক্ষমাণ

    প্রার্থী অনেক; কিন্তু পরিমিত মুক্তি।

    হয়তো এই বিশ্বব্যাপী লাইনের শেষে

    এখনও তোমাদের স্থান হতে পারে—

    এ কথা ঘোষণা করে দাও তোমাদের দেশময়

    প্রতিবেশীর কাছে।

    তারপর নিঃশব্দে দাঁড়াও এ লাইনে প্রতিজ্ঞা আর প্রতীক্ষা নিয়ে

    হাতের মুঠোয় তৈরি রেখে প্রত্যেকের প্রাণ।

    • মহিউদ্দিন আহমদ লেখক ও গবেষক। সূত্র: প্রথম আলো

    Share. Facebook Twitter LinkedIn Email Telegram WhatsApp Copy Link

    সম্পর্কিত সংবাদ

    মতামত

    ক্ষমতার সঙ্গে সম্পদের অদ্ভুত যোগসূত্র!

    December 7, 2025
    মতামত

    ভোটপ্রক্রিয়া জটিল, গণভোট কি প্রতীকী হয়ে উঠছে?

    December 7, 2025
    অর্থনীতি

    বাজার নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবসা সম্প্রসারণে সুষম নীতি প্রয়োজন

    December 7, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সর্বাধিক পঠিত

    সাউথইস্ট ব্যাংকে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাত

    আইন আদালত October 7, 2025

    ক্রেতারা ভারত-চীন ছাড়ছে, বাংলাদেশ পাচ্ছে অর্ডার

    অর্থনীতি August 15, 2025

    সব ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী নয়

    মতামত January 13, 2025

    বরিশালের উন্নয়ন বঞ্চনা: শিল্প, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে নেই অগ্রগতি

    মতামত April 22, 2025
    সংযুক্ত থাকুন
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • YouTube
    • Telegram

    EMAIL US

    contact@citizensvoicebd.com

    FOLLOW US

    Facebook YouTube X (Twitter) LinkedIn
    • About Us
    • Contact Us
    • Terms & Conditions
    • Comment Policy
    • Advertisement
    • About Us
    • Contact Us
    • Terms & Conditions
    • Comment Policy
    • Advertisement

    WhatsAppp

    01339-517418

    Copyright © 2025 Citizens Voice All rights reserved

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.