Close Menu
Citizens VoiceCitizens Voice
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp Telegram
    Citizens VoiceCitizens Voice Fri, Dec 12, 2025
    • প্রথমপাতা
    • অর্থনীতি
    • বাণিজ্য
    • ব্যাংক
    • পুঁজিবাজার
    • বিমা
    • কর্পোরেট
    • বাংলাদেশ
    • আন্তর্জাতিক
    • আইন
    • অপরাধ
    • মতামত
    • অন্যান্য
      • খেলা
      • শিক্ষা
      • স্বাস্থ্য
      • প্রযুক্তি
      • ধর্ম
      • বিনোদন
      • সাহিত্য
      • ভিডিও
    Citizens VoiceCitizens Voice
    Home » দেশের ঋণ ও সুদ: নাগরিকের অদৃশ্য বোঝা
    মতামত

    দেশের ঋণ ও সুদ: নাগরিকের অদৃশ্য বোঝা

    এফ. আর. ইমরানNovember 27, 2025
    Facebook Twitter Email Telegram WhatsApp Copy Link
    প্রতীকি ছবি/প্রথম আলো
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Telegram WhatsApp Email Copy Link

    বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ গড়ে বছরে ৭ হাজার ৫০০ টাকার মতো সুদ পরিশোধ করেন। না, এই সুদ পরিশোধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ঋণের সঙ্গে তাঁদের কোনো সরাসরি যোগাযোগ নেই। আমরা প্রত‍্যেকেই এই সুদ পরিশোধ করছি দেশে-বিদেশে সরকারের নেওয়া ঋণের জন্য। সুতরাং ওই ৭ হাজার ৫০০ টাকা সংখ‍্যাটি একটি প্রতীকী সংখ‍্যা এবং সরকারি ঋণের পরিপ্রেক্ষিতে এটা হচ্ছে আমাদের প্রত‍্যেকের দায়। আসলে বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকই গড়ে ১ লাখ টাকার ঋণভার বহন করছি। কারণ, এ বছর মার্চ নাগাদ বাংলাদেশের মোট ঋণ হচ্ছে ২০ লাখ কোটি ‍টাকা।

    গত অর্থবছরে সরকার ঋণের সুদ পরিশোধের জন‍্য ১৩৫ হাজার কোটি টাকা ব‍্যয় করেছে। এই সংখ‍্যাটি সরকারি বার্ষিক বাজেট ব‍্যয়ের ২১ শতাংশ, যার মানে দাঁড়াচ্ছে, সরকারি ঋণের ওপরে সুদ পরিশোধে সরকার বাজেটের এক-পঞ্চমাংশ খেয়ে ফেলে। গত এক দশকে সরকারের ঋণের সুদ পরিশোধের ব‍্যয়ভার ৪ গুণ বেড়েছে। ২০১৫–১৬ অর্থবছরের ৩২ হাজার কোটি টাকা থেকে ২০২৪–২৫ অর্থবছরের ১৩৫ হাজার কোটি টাকায় (১৬ বিলিয়ন ডলার) পৌঁছেছে।

    ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকারের সুদ পরিশোধ ব‍্যয়ভারের মধ্যে দেশজ ঋণের সুদ পরিশোধেরই প্রাধান‍্য ছিল। সে বছর দেশজ ঋণের সুদ পরিশোধের ব‍্যয়ভার ছিল ১১৭ হাজার কোটি টাকা (প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার), ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশ্লিষ্ট ব‍্যয়ের চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণের ওপরে সুদ পরিশোধের ব‍্যয়ভার ছিল ১৮ হাজার কোটি টাকা (২ বিলিয়ন ডলার), ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ব‍্যয়ভারের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি।

    এ প্রসঙ্গে দুটি পর্যবেক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ। এক. সরকারের ঋণের সুদ পরিশোধ ব‍্যয়ভারের ৮৮ শতাংশই দেশজ ঋণের ওপরে। দুই. বৈদেশিক ঋণের ওপরে সুদ পরিশোধ ব‍্যয়ভার দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আসলে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ গত তিন বছরে দ্বিগুণ হয়ে বর্তমানে ৮ লাখ কোটিতে এসে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের ঋণ বজায়ক্ষমতা বিশ্লেষণ নির্দেশ করে যে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ-রপ্তানির অনুপাত ১৪০ শতাংশ, যা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের নির্দেশিত নিরাপদ পরিসীমার মধ‍্যে আছে। তবে বৈদেশিক ঋণবৃদ্ধির দ্রুতগতি চিন্তার বিষয় বটে।

    উপর্যুক্ত চালচিত্রের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সুদ পরিশোধ ব‍্যয়ভার প্রসঙ্গে তিনটি প্রশ্ন প্রাসঙ্গিক।

    এক. এই বৃদ্ধি কেন ঘটল, এর সম্ভাব‍্য প্রভাব কী এবং এ ব‍্যাপারে করণীয় কী। সমস‍্যাটির কেন্দ্রবিন্দুতেই রয়েছে ক্রমবর্ধমান সরকারি ব‍্যয় এবং অত‍্যন্ত অতি ধীরগতিতে সরকারি আয়ের বৃদ্ধি। ব‍্যয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে সরকারি ব‍্যয় অত‍্যন্ত দ্রুতগতিতে বাড়ছে। যেমন বর্তমান অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে সরকারের ব‍্যয়ভার ছিল ১ লাখ কোটি টাকা, অথচ গত বছরের ওই সময়কালে সরকারি ব‍্যয়ভার ছিল ৯৫ হাজার কোটি টাকা। যদিও সরকারের উন্নয়ন ব‍্যয় ছেঁটে দেওয়া হয়েছে, তবু সরকারি পরিচালন ব‍্যয় অনেক বেড়ে গেছে। বাজেট-পরবর্তী সময়ে নানা দাবি আর চাহিদার মুখে সরকারি ব‍্যয় বেড়ে গেছে।

    যেমন সমস‍্যাসংকুল পাঁচটি ইসলামি ব‍্যাংকের একীভূতকরণের পরে নতুন ব্যাংকের মূলধন হিসেবে সরকার ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ করবে। তিনটি শিক্ষাসম্পৃক্ত মন্ত্রণালয় ও বিভাগ উন্নয়নবহির্ভূত ব‍্যয় হিসেবে ১৪ হাজার কোটি টাকা খরচ করবে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর জন‍্য। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বর্ধিত বাড়িভাড়ার জন‍্য সরকারের অতিরিক্ত ব‍্যয় হবে ৪ হাজার কোটি টাকা। সারের ওপরে ভর্তুকি এবং প্রণোদনার জন‍্য খরচ করা হবে ৮ হাজার কোটি টাকা। আসন্ন নির্বাচনের জন‍্য বরাদ্দ ৩ হাজার কোটি টাকা।

    যদিও সরকারি ব‍্যয় হু হু করে বেড়ে গেছে, সরকারের রাজস্ব কিন্তু তার সঙ্গে তাল রাখতে পারেনি। কর-জাতীয় আয়ের অনুপাত বাংলাদেশে এখনো মাত্র ৮ শতাংশ, যেখানে নেপালে সংশ্লিষ্ট সংখ‍্যাটি হচ্ছে ১৭ শতাংশ এবং ভারতে ১২ শতাংশ। রাজস্ব আদায়ের জন‍্য বাংলাদেশ আমদানি শুল্ক এবং আবগারি শুল্কের মতো অপ্রত‍্যক্ষ করের ওপরে নির্ভর করে। আয়করের মতো প্রত‍্যক্ষ কর বাড়িয়ে রাজস্ব আহরণের জন‍্য প্রয়োজনীয় সংস্কার এখনো করা হয়নি। যেহেতু সরকারের রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্র সংকুচিত হয়ে পড়েছে, তাই তার বর্ধিত পরিচালন ব‍্যয় মেটাতে সরকার ধার করতে বাধ‍্য হচ্ছে।

    দ্বিতীয় প্রশ্ন হচ্ছে, ক্রমবর্ধমান ঋণ সুদ পরিশোধ ব‍্যয়ের কী প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পড়ছে? প্রথমত, ভবিষ্যতে বৈদেশিক ঋণের বজায়ক্ষমতা নিরাপদ পরিসীমার মধ‍্যে না থাকলে বর্ধিত হারে মূল ঋণ এবং সুদ পরিশোধ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অর্থনীতি একটি নাজুকতার মধ‍্যে পড়তে পারে।

    দ্বিতীয়ত, আগামী বছর যদি বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়, তাহলে দেশটি দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বর্তমান সময়ের অনুদানের সুযোগ, সহজ শর্তের ঋণসুবিধা ইত‍্যাদি হারাবে। বাংলাদেশকে তখন বাণিজ‍্যিক বাজারের উচ্চ সুদ এবং সীমিত ঋণ পরিশোধ সময়কালসম্পন্ন ঋণের ওপরেই নির্ভর করতে হবে। সে অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমানের ঋণভার আরও বেশি বেড়ে যাবে।

    তৃতীয়ত, বৈশ্বিক আর্থিক বাজারের সংকোচন, উচ্চ দেশজ মূল‍্যস্ফীতি এবং দেশীয় মুদ্রামানের অবমূল‍্যায়নের কারণে বাণিজ‍্যিক বাজার থেকে ঋণ গ্রহণের মূল‍্য ইতিমধ‍্যেই অনেক বেড়ে গেছে। ফলে বাংলাদেশের অভ‍্যন্তরের ব‍্যাংকগুলো তাদের সুদের হার বাড়িয়ে দিয়েছে, যার কারণে সরকারের নেওয়া ঋণ পরিশোধের দায়ভারও বৃদ্ধি পেয়ে একটি নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে।

    গত চার বছরে টাকার যথেষ্ট অবমূল‍্যায়ন হয়েছে। চার বছর আগে ১ ডলারের বিপরীতে টাকার মান যেখানে ছিল ৮৪ টাকা, আজ সেটা ১২৩ টাকায় এসে ঠেকেছে। সুতরাং বিদেশি মুদ্রায় বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করতে অনেক বেশি দেশজ মুদ্রা প্রয়োজন হচ্ছে। এটা দেশের সম্পদের আধারকে আরও সংকুচিত করছে।

    শেষ প্রশ্ন, এ ব‍্যাপারে কী করা যেতে পারে? প্রথমত, রাজস্ব আহরণের জন‍্য একটি জোরালো সংস্কারমালা গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশকে একদিকে তার কর-জাতীয় আয়ের অনুপাতকে যেমন অন‍্যান‍্য দেশের স্তরের সঙ্গে তুলনীয় একটি মানে নিয়ে যেতে হবে; তেমনি অন‍্যদিকে অপ্রত‍্যক্ষ করের ওপরে নির্ভরতা কমিয়ে প্রত‍্যক্ষ করের ওপরে নির্ভরতা বাড়ানোর জন‍্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। সেই সঙ্গে কর প্রশাসন কাঠামোর প্রয়োজনীয় সংস্কার অবশ‍্যই করতে হবে। কর আহরণ বিভাগ এবং করনীতি প্রণয়ন বিভাগকে আলাদা করার প্রক্রিয়াকে আরও সচল করা দরকার।

    দ্বিতীয়ত, রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ ও আমদানি যৌক্তিকীকরণের জন‍্য নীতিমালা গ্রহণ করলে সরকারের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বাড়বে, স্থিতিশীল হবে এবং সম্পদ স্তরও বাড়বে। সে ব‍্যাপারে বিদেশ থেকে শ্রম-আয় প্রাপ্তির ব‍্যাপারে সক্রিয় ব‍্যবস্থা নিতে হবে। সেই সঙ্গে যথাযথ বিনিয়োগ পরিবেশ গড়ার লক্ষ‍্যে চৌকস নীতিমালা গ্রহণ করলে বৈদেশিক প্রত‍্যক্ষ বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। এসব ব‍্যবস্থা বৈদেশিক ঋণের দরকার কমিয়ে দেবে।

    সঙ্গে সঙ্গে সরকারি ব‍্যয়কেও সংকুচিত করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ‍্য খাত ভিন্ন ভৌত অবকাঠামোর জন‍্য নতুন বরাদ্দ আপাতত স্থগিত রাখা যেতে পারে, উন্নয়নবহির্ভূত কার্যক্রমের জন‍্য ভূমি দখল বন্ধ করা যেতে পারে। নতুন গাড়ি কেনা, সরকারি কর্মচারীদের বিদেশভ্রমণ, বিনোদন ব‍্যয় ইত‍্যাদি খরচের ওপরে নিষেধাজ্ঞা বসানো যেতে পারে। চতুর্থত, প্রাজ্ঞ ঋণ ব‍্যবস্থাপনার কোনো বিকল্প নেই। নতুন প্রকল্পের আছে যথাযথ যাচাই-বাছাই, উন্নত প্রকল্প বাস্তবায়ন অত‍্যন্ত জরুরি। বিশাল প্রকল্প, স্বচ্ছ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুফলবিহীন মর্যাদামূলক উদ‍্যোগ পরিহার করা দরকার।

    আগামী নির্বাচিত সরকারের অন‍্যতম কাজ হবে দেশের ক্রমবর্ধমান ঋণ এবং সুদ পরিশোধের জন্য একটি স্বচ্ছ ও বাস্তবসম্মত পথনির্দেশিকা প্রণয়ন এবং তার বাস্তবায়ন। এর লক্ষ‍্য হবে দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের ঋণ বজায়ক্ষমতাকে নিশ্চিত করা।

    • ড. সেলিম জাহান জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন কার্যালয়ের পরিচালক। সূত্র: প্রথম আলো

    Share. Facebook Twitter LinkedIn Email Telegram WhatsApp Copy Link

    সম্পর্কিত সংবাদ

    অর্থনীতি

    ৪৭ বছর পর চায়ের বাজারে রেকর্ড করল এনটিসি

    December 12, 2025
    অর্থনীতি

    ভারতীয় পণ্যে মেক্সিকোর ৫০% শুল্ক

    December 12, 2025
    বাংলাদেশ

    ‘অপমানিত’ বোধ করছেন রাষ্ট্রপতি, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ‘পদত্যাগের ইচ্ছা’- রয়টার্সের প্রতিবেদন

    December 12, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সর্বাধিক পঠিত

    সাউথইস্ট ব্যাংকে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাত

    আইন আদালত October 7, 2025

    ক্রেতারা ভারত-চীন ছাড়ছে, বাংলাদেশ পাচ্ছে অর্ডার

    অর্থনীতি August 15, 2025

    সব ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী নয়

    মতামত January 13, 2025

    বরিশালের উন্নয়ন বঞ্চনা: শিল্প, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে নেই অগ্রগতি

    মতামত April 22, 2025
    সংযুক্ত থাকুন
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • YouTube
    • Telegram

    EMAIL US

    contact@citizensvoicebd.com

    FOLLOW US

    Facebook YouTube X (Twitter) LinkedIn
    • About Us
    • Contact Us
    • Terms & Conditions
    • Comment Policy
    • Advertisement
    • About Us
    • Contact Us
    • Terms & Conditions
    • Comment Policy
    • Advertisement

    WhatsAppp

    01339-517418

    Copyright © 2025 Citizens Voice All rights reserved

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.