Close Menu
Citizens VoiceCitizens Voice
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp Telegram
    Citizens VoiceCitizens Voice Fri, Dec 19, 2025
    • প্রথমপাতা
    • অর্থনীতি
    • বাণিজ্য
    • ব্যাংক
    • পুঁজিবাজার
    • বিমা
    • কর্পোরেট
    • বাংলাদেশ
    • আন্তর্জাতিক
    • আইন
    • অপরাধ
    • মতামত
    • অন্যান্য
      • খেলা
      • শিক্ষা
      • স্বাস্থ্য
      • প্রযুক্তি
      • ধর্ম
      • বিনোদন
      • সাহিত্য
      • ভিডিও
    Citizens VoiceCitizens Voice
    Home » রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য বন্ড নীতি হবে মূল চালিকা শক্তি
    মতামত

    রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য বন্ড নীতি হবে মূল চালিকা শক্তি

    মনিরুজ্জামানDecember 18, 2025
    Facebook Twitter Email Telegram WhatsApp Copy Link
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Telegram WhatsApp Email Copy Link

    কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণহীনতার কারণে দেশের বন্ড সুবিধার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে বিঘ্ন দেখা দিয়েছে। এ বিষয়টি স্পষ্ট যে, বন্ড সুবিধা দেশের রফতানি ও রাজস্ব খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

    তবে সুবিধার শর্তের অপব্যবহারও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিছু অসাধু আমদানিকারক বিওপিপি, বিওপিইটি ও সিপিপি ফিল্ম আমদানি করে তা পুনরায় রফতানি না করে খোলাবাজারে বিক্রি করছে। এতে সরকারি রাজস্ব ও নিয়মিত রফতানি প্রক্রিয়া উভয়েই প্রভাবিত হচ্ছে।

    আকিজ বশির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান আকিজ বায়াক্স ফিল্মস লিমিটেড (এবিএফএল)। দেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে এখানে বিওপিপি (বায়াক্সিয়ালি ওরিয়েন্টেড পলিপ্রপাইলিন), বিওপিইটি (বায়াক্সিয়ালি ওরিয়েন্টেড পলিইথিলিন টেরেফথ্যালেট), সিপিপি (কাস্ট পলিপ্রপাইলিন ফিল্ম) ও স্ট্রেচ ফিল্ম উৎপাদন করা হয়। এ চার ধরনের ফিল্ম উৎপাদনের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে  কথা বলেছেন আকিজ বশির গ্রুপের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) হোসেন ইরাজ

    আপনাদের হিসাবে দেশে বিওপিপি, বিওপিইটি ও সিপিপির বার্ষিক চাহিদা ৭০-৮০ হাজার টন। এর মধ্যে বন্ড সুবিধাপ্রাপ্ত আমদানিকারকরা কীভাবে বাজার দখল করে আছে? তারা কীভাবে এ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করল?

    কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণহীনতার কারণেই এটা হয়েছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে বন্ড সুবিধা দেশের রফতানি ও রাজস্ব খাতে বিশেষ অবদান রাখে। একই সঙ্গে এ সুবিধার কারণে কিছু অসাধু আমদানিকারক বিওপিপি, বিওপিইটি ও সিপিপি ফিল্ম আমদানি করে পুনরায় রফতানি না করে খোলাবাজারে বিক্রি করে আসছে। ফলে দুটি বড় ক্ষতি হচ্ছে। একদিকে স্থানীয় শিল্প মারাত্মকভাবে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে। অন্যদিকে সরকার বড় অংকের সম্ভাব্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, যা প্রতারক ব্যবসায়ীদের ব্যক্তিগত মুনাফায় পরিণত হচ্ছে। বন্ড সুবিধায় আমদানীকৃত এসব ফিল্মের অধিকাংশই স্থানীয় বাজারে অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে, যেখানে কোনো ভ্যাট-ট্যাক্স পরিশোধ করা হয় না। ফলে বাজারে অস্বাভাবিক প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হচ্ছে ও সরকারের রাজস্ব ক্ষতি ক্রমাগত বাড়ছে।

    স্থানীয় উৎপাদক প্রতিষ্ঠান যখন কাঁচামালের ওপর শুল্ক দিয়ে উৎপাদন করছে, তখন শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানীকৃত ফিল্ম বাজারে কেনাবেচার ফলে যে অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হচ্ছে, এর বাস্তব প্রভাব কী ও কেমন?

    বাংলাদেশে নৈতিকতা মেনে ব্যবসা পরিচালনা করা কঠিনতর হয়ে উঠেছে। আমরা সবাই কস্ট অব ডুয়িং বিজনেসের কথা বলি, কিন্তু কেউ কস্ট অব ডুয়িং কমপ্লায়েন্ট বিজনেসের কথা বলছি না। বাংলাদেশে এটি খুব ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে, এতে যারা কমপ্লায়েন্ট ব্যবসায়ী তারা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ব্যবসার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে।

    বন্ড সুবিধা বাংলাদেশের রফতানি ব্যবসার ক্ষেত্রে যুগোপযোগী ও একটি ভালো ব্যবস্থা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এ ব্যবস্থার অপব্যবহারে। যারা ব্যবসা করেন তাদের একটি মুনাফার লক্ষ্য থাকে। কিন্তু আমরা মুনাফা কীভাবে নিশ্চিত করছি? আমরা ব্যবসার মূল ব্যবস্থাগুলো নিয়ে কাজ করছি না ও সরকারকে প্রাপ্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করছি। আর সেটাই হয়ে উঠছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর আয়ের মূল উৎস। এটি অত্যন্ত অন্যায়, যা সরকারি নীতিনির্ধারক বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর দেখা উচিত।

    স্থানীয় প্রতিষ্ঠান কাঁচামালের ওপর শুল্কসহ ভ্যাট, এটি ও এআইটি পরিশোধ করে ফিল্ম উৎপাদন করছে। বিপরীতে বন্ড সুবিধায় আমদানীকৃত ফিল্ম সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত। ফলে তাদের বিপণন ব্যয় স্থানীয় উৎপাদকদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। এ মূল্য-ব্যবধান থেকেই বাজারে গুরুতর অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হচ্ছে। এ পরিস্থিতির বাস্তব প্রভাব অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কারণ স্থানীয় উৎপাদকদের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে, কিন্তু বাজারে তারা সেই অনুযায়ী দাম রাখতে পারছে না। শুল্কমুক্ত ফিল্ম কম দামে বাজার দখল করায় স্থানীয় উৎপাদকরা নিজেদের পণ্য বিক্রি করতে পারছে না।

    বাধ্য হয়ে তারা উৎপাদন কমাচ্ছেন। ফলে কারখানার শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের চাকরি অনিশ্চয়তায় পড়ছে। এছাড়া দীর্ঘদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে, ফলে স্থানীয় উদ্যোক্তারা নতুন বিনিয়োগে আগ্রহ হারাচ্ছেন। শুল্কমুক্ত আমদানি ও শুল্ক পরিশোধিত স্থানীয় উৎপাদনের এ অসম প্রতিযোগিতা শুধু শিল্পকে দুর্বল করছে না, বরং কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ ও সামগ্রিক অর্থনীতিকেও নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে।

    কাস্টমসের তথ্যানুযায়ী, এক বছরে বন্ড সুবিধায় বিওপিপি ও বিওপিইটি ফিল্মের আমদানি কতটা বেড়েছে? এর পেছনে কি বাস্তব রফতানি চাহিদা কাজ করেছে, না অপব্যবহার হচ্ছে?

    বন্ড সুবিধায় শুল্কমুক্ত আমদানির মূল শর্ত হলো পণ্যটি রফতানিমুখী উৎপাদনে ব্যবহার হবে। তাই তারা দাবি করে যে আমদানীকৃত বিওপিপি, বিওপিইটি ও সিপিপি পলিমার ফিল্ম রফতানির জন্য প্রয়োজন। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, মাত্র এক বছরে বন্ড সুবিধায় এসব ফিল্পের আমদানি ৫৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা অস্বাভাবিক। কিছু রফতানি চাহিদা বৃদ্ধি থাকতে পারে, তবে রফতানির বাস্তব প্রবৃদ্ধির সঙ্গে এ বিশাল আমদানি মিল আছে কিনা, তা যাচাই করা জরুরি। যদি আমদানি বৃদ্ধির সঙ্গে সমপরিমাণ রফতানি না বাড়ে, তাহলে তা স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে যে বন্ড সুবিধার অপব্যবহার হচ্ছে।

    বন্ড সুবিধার অপব্যবহারের কারণে সরকার কী পরিমাণ রাজস্ব হারায়? এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ রয়েছে?

    সরকার বন্ড সুবিধা দেয় মূলত রফতানিমুখী শিল্পকে উৎসাহিত ও দীর্ঘমেয়াদে রাজস্ব আয়ের প্রবাহ বৃদ্ধি করতে। তবে স্থানীয় শিল্প সুরক্ষা ও জাতীয় রাজস্বের স্বার্থ বিবেচনায় আমরা ২০২১-২০২৫ সাল পর্যন্ত সময়ের আমদানি-রফতানি ডাটা, কাস্টমস পরিসংখ্যান, বাজারে সরবরাহ-চাহিদা বিশ্লেষণ এবং আন্তর্জাতিক মূল্যতথ্য পর্যালোচনা করে একটি হিসাব তৈরি করেছি। এতে দেখা গেছে, বন্ড সুবিধার অপব্যবহারের মাধ্যমে শুল্ক ও ভ্যাট পরিশোধ না করে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিওপিপি, বিওপিইটি ও সিপিপি ফিল্ম স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয়েছে। ফলে সরকার সম্ভাব্য প্রায় ৭০০ কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে। এখানে সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেয়ার কারণ হয়তো বিষয়টি তদন্ত, তথ্য যাচাই বা অডিট পর্যায়ে রয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের কোনো স্পষ্ট ধারণা নেই।

    তৈরি পোশাক রফতানিতে বন্ড সুবিধাপ্রাপ্ত ফিল্মের ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা দিন। ব্যবহার যদি নগণ্য হয় তাহলে পোশাক খাতের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ কেন ইউটিলাইজেশন ডিক্লারেশন (ইউডি) ইস্যু করছে বলে আপনারা মনে করেন?

    বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ মূলত তৈরি পোশাক এবং টেক্সটাইল খাতের ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষা, রফতানিমুখী উৎপাদন সহজ করার দায়িত্বে নিয়োজিত। তবে তারাও চায় না বন্ডের অপব্যবহার হোক। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিজিএমইএ গত ১১ সেপ্টেম্বর ও বিকেএমইএ গত ১ সেপ্টেম্বর তাদের সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত সব সদস্য প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবগত করেছে। একই সঙ্গে বলা হয় যে, যেসব প্রতিষ্ঠান বন্ড সুবিধার মাধ্যমে আমদানীকৃত ফিল্ম কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করে, তাদের ইউডি ইস্যুর সময় পলির থিকনেস বা পুরুত্ব ৭০ মাইক্রনের নিচে হলে এ ইউডি সংশোধনী পাশের ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রাপ্যতা সাপেক্ষে বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ পরিচালনা পর্ষদের পূর্বানুমোদন প্রয়োজন হবে।

    বন্ড সুবিধায় ফিল্ম আমদানির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো যখন ইউডি আবেদন করে, তখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যাচাই-বাছাই বা ব্যবহার উপযোগিতা বিশ্লেষণ ছাড়াই অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু বাস্তব তথ্য হলো বন্ড সুবিধাপ্রাপ্ত বিওপিপি, বিওপিইটি ও সিপিপি ফিল্মের ব্যবহার তৈরি পোশাক রফতানির মোট মূল্যের দশমিক ৪৫ শতাংশেরও কম। এ অতি স্বল্প ব্যবহার স্পষ্টভাবে দেখায় যে প্রকৃত রফতানি চাহিদা এ বিপুল আমদানিকে সমর্থন করে না এবং ইউডি ইস্যুর ক্ষেত্রে কার্যকর নজরদারি, প্রযুক্তিগত যাচাই ও জবাবদিহিতার ঘাটতি রয়েছে।

    বাংলাদেশ কাস্টমস বন্ড অ্যান্ড কমিশনারেট থেকে আমদানি প্রাপ্যতার ওপর ভিত্তি করে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ ইউডি ইস্যু করে থাকে। সে ক্ষেত্রে এ সংগঠনগুলোর তেমন কিছু করার থাকে না। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়েই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বন্ড সুবিধায় আমদানি করা ফিল্ম পুনরায় রফতানি না করে খোলাবাজারে ভ্যাট-ট্যাক্স ছাড়াই বিক্রি করছে।

    ৭০ মাইক্রনের নিচের পাতলা ফিল্ম স্থানীয় খাদ্য ও ভোগ্যপণ্যের প্যাকেজিংয়ে ব্যবহৃত হয়। তা সত্ত্বেও বন্ড সুবিধা বহাল রাখার পেছনে কোনো চক্র কাজ করছে বলে আপনি মনে করেন?

    এ ফিল্মের ব্যবহার সম্পূর্ণ দেশীয় বাজারভিত্তিক হওয়া সত্ত্বেও বন্ড সুবিধা বহাল থাকাটি অত্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ। একটি দুষ্টচক্র অর্থনৈতিক সুবিধা নেয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রভাব খাটিয়ে বা সুবিধাজনক পন্থায় বন্ড সুবিধা বহাল রাখার চেষ্টা করছে। এটা স্পষ্টভাবে রাজস্ব ও স্থানীয় খাদ্য প্যাকেজিং শিল্পের জন্য গুরুতর হুমকি। পৃথিবীর অনেক দেশেই পরিবেশগত নীতিমালা পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা আসলে প্রশ্ন করছি না, কোথায় কতটুকু যৌক্তিকতা আছে বা কোন পণ্যের কতটুকু ব্যবহার আছে। আমরা বিওপিপি, বিওপিইটি ও সিপিপি ফিল্মগুলো হাতের মুঠোয় ধরলে দেখব ফ্লেক্সিবল ফিল্ম, কিন্তু এগুলোয় একটু মচমচে শব্দ হয়। গার্মেন্ট শিল্পে যে পিই ফিল্মগুলো ব্যবহার হয়, সেগুলো হাতের মুঠোয় নিলে নরম অনুভূত হয় ও প্রায় শব্দহীন। উন্নত দেশগুলোয় এখন রিসাইকেলড মেটেরিয়াল ব্যবহারের তাগিদ আসছে। কোনো কোনো দেশে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ রিসাইকেলড মেটেরিয়াল ব্যবহারের শর্ত রয়েছে। আমদানীকৃত বিওপিপি ও বিওপিইটি শতভাগ ভার্জিন মেটেরিয়াল দিয়ে তৈরি।

    আমরা কি কখনো প্রশ্ন করছি—এ ফিল্মগুলো গার্মেন্টস প্যাকেজিং হিসেবে যেসব দেশে রফতানি করছি, আসলেই কি সেসব দেশে যাচ্ছে? ওই দেশগুলো কি সত্যিই নিচ্ছে? আর তা না হলে এ ফিল্মগুলো যাচ্ছে কোথায়? এ সহজ প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজলেই দেখা যাবে অনিয়ম ও অপব্যবহার কোথায় হচ্ছে। এ অনিয়ম রোধ করাই আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য।

    আকিজ বায়াক্স ফিল্মস একমাত্র স্থানীয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে শিল্প টিকিয়ে রাখতে সরকারের কাছে কী ধরনের নীতিগত পদক্ষেপ দাবি করছে? শুধু শুল্কনীতি সংশোধন নাকি আরো বিস্তৃত নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন?

    দেশের একমাত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আকিজ বায়াক্স ফিল্মস মনে করে, শুধু শুল্কনীতি সংশোধন নয়, একটি কার্যকর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এখন অত্যন্ত জরুরি। কারণ বর্তমানে বন্ড সুবিধার আওতায় বিওপিপি, বিওপিইটি ও সিপিপি ফিল্মের অস্বাভাবিক আমদানি প্রকৃত রফতানি চাহিদার তুলনায় বহু গুণ বেশি। এ অবস্থায় শিল্প টিকিয়ে রাখা, বিনিয়োগ রক্ষা ও সরকারের ন্যায্য রাজস্ব নিশ্চিত করতে আমরা কিছু নীতিগত পদক্ষেপ দাবি করছি।

    আমাদের আবেদন অত্যন্ত সরল ও যুক্তিসংগত। যেহেতু ৭০ মাইক্রনের নিচের ফিল্ম সম্পূর্ণভাবে স্থানীয় খাদ্য ও ভোগ্যপণ্যের প্যাকেজিংয়ে ব্যবহৃত হয়, তাই এ ধরনের ফিল্ম কোনোভাবেই বন্ড সুবিধায় আমদানি করার যৌক্তিকতা নেই। সুতরাং সরকারের কাছে অনুরোধ থাকবে এ শ্রেণীর ফিল্মকে অবিলম্বে বন্ড সুবিধার বাইরে রেখে নিয়মিত শুল্ক কাঠামোর আওতায় আনা হোক। এতে রাজস্ব সুরক্ষিত ও দেশীয় প্যাকেজিং শিল্প ন্যায্য প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে টিকে থাকতে পারবে। ফলে স্থানীয় শিল্প শক্তিশালী হবে ও আমদানিনির্ভরতা কমবে। সরকার উন্নয়ন সহযোগী বিভিন্ন সংস্থা থেকে কঠিন শর্তে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ করে থাকে। ঋণ প্রদানকারী সংস্থার অন্যতম প্রধান শর্তও থাকে রাজস্ব বৃদ্ধি। বন্ড ব্যবস্থার সংস্কার করে রাজস্ব প্রবৃদ্ধির একটি সহজ দ্বার উন্মোচন করা সম্ভব।

    হোসেন ইরাজ: আকিজ বশির গ্রুপের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও)।
    সূত্র: বণিক বার্তা 

    Share. Facebook Twitter LinkedIn Email Telegram WhatsApp Copy Link

    সম্পর্কিত সংবাদ

    মতামত

    ঋণ ও হতাশায় কেন শুরু হয় অভিবাসন যাত্রা?

    December 18, 2025
    মতামত

    সারসংকটে কৃষক, সিন্ডিকেট দমন জরুরি

    December 18, 2025
    মতামত

    বৈশ্বিক বিনিয়োগ মঞ্চে অনুপস্থিত বাংলাদেশের পুঁজিবাজার

    December 18, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সর্বাধিক পঠিত

    সাউথইস্ট ব্যাংকে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাত

    আইন আদালত October 7, 2025

    ক্রেতারা ভারত-চীন ছাড়ছে, বাংলাদেশ পাচ্ছে অর্ডার

    অর্থনীতি August 15, 2025

    সব ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী নয়

    মতামত January 13, 2025

    বরিশালের উন্নয়ন বঞ্চনা: শিল্প, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে নেই অগ্রগতি

    মতামত April 22, 2025
    সংযুক্ত থাকুন
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • YouTube
    • Telegram

    EMAIL US

    contact@citizensvoicebd.com

    FOLLOW US

    Facebook YouTube X (Twitter) LinkedIn
    • About Us
    • Contact Us
    • Terms & Conditions
    • Comment Policy
    • Advertisement
    • About Us
    • Contact Us
    • Terms & Conditions
    • Comment Policy
    • Advertisement

    WhatsAppp

    01339-517418

    Copyright © 2025 Citizens Voice All rights reserved

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.