যখন দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ব র্যাংকিংয়ে ভালো করে, তখন শুধু সেই বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বরং সারা দেশ খুশি হয়। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্ব র্যাংকিংয়ে খুব একটা ভালো করতে পারছে না। র্যাংকিংয়ে সম্মানজনক অবস্থান যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনন্য সম্মান আর প্রশংসা বয়ে আনে, তেমনি খারাপ করার জন্য বয়ে আনে গ্লানি আর অস্বস্তি।
আন্তর্জাতিক বা বিশ্ব র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে সাধারণত যুক্তরাজ্যভিত্তিক দুটি প্রতিষ্ঠানের র্যাংকিং বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক পরিচিত। র্যাংকিং দুটি হলো টাইমস হায়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং ও কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং। মোটা দাগে বললে, পাঠদানের সুনাম, গবেষণার পরিবেশ, গবেষণার মান, শিল্পায়নে অবদান ও আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি—এ পাঁচ বিষয় ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিংয়ের জন্য সর্বোচ্চ বিবেচনায় নেয়া হয়, যদিও আরো কিছু বিষয় রয়েছে যা এক্ষেত্রে খুব বেশি প্রভাব ফেলে না। এখন দেখা যাক, এসব খাতে আমাদের সক্ষমতা বা সমস্যা কোথায়, যেজন্য আমরা ভালো করতে পারি না।
পাঠদানের সুনামের ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা, পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষক ও কর্মকর্তার সংখ্যা, প্রাতিষ্ঠানিক আয় ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত। এখানে আমরা নম্বর কম পাই যা বিশ্ব র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কিন্তু কেন এমনটা হয়?
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পিএইচডি প্রোগ্রামে খুব কম শিক্ষার্থী ভর্তি হন, কারণ অর্থাভাবে একজন পিএইচডি শিক্ষার্থীকে ভালো ফেলোশিপ বা স্কলারশিপ দেয়া সম্ভব হয় না। এছাড়া গবেষণা করতে যেসব আধুনিক যন্ত্রপাতি, রিএজেন্ট ও ল্যাব সুবিধার প্রয়োজন হয়, সেগুলোও দেশী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আর্থিক সংকটের কারণে সচরাচর সরবরাহ করতে পারে না। বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় আমাদের ল্যাবগুলোর সুবিধা ও মান যথেষ্ট উন্নত ও আধুনিক নয়। ফলে বিদেশী শিক্ষার্থী দূরে থাক, দেশী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভালো মানের দেশী শিক্ষার্থীদেরকেও পিএইচডি প্রোগ্রামে আকর্ষণ করতে পারে না। বিশ্ব র্যাংকিংয়ে ভালো করতে হলে আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধির মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।
আমাদের যেসব শিক্ষক বা শিক্ষার্থী বিদেশে পিএইচডি করতে যান, তারা ফেলোশিপ বা স্কলারশিপের টাকায় সেখানে সাধারণভাবে থাকা-খাওয়া ও পড়াশোনা চালিয়ে নিতে পারেন। অনেকেই আবার সেখান থেকে কিছু টাকা বাঁচিয়ে দেশেও নিয়ে আসতে পারেন। কিন্তু দেশে পিএইচডি গবেষণার জন্য আর্থিক প্রণোদনা খুব কম বা নেই বললেই চলে। তাহলে এখানে শিক্ষার্থীরা পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হবেন কেন? এসব কারণে এ খাতে আমাদের স্কোর খারাপ থাকে। বিষয়টি প্রধানত আর্থিক। তাই এটা সমাধান করার ক্ষমতা সরকারের হাতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে নয়।
এবার পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষক ও কর্মকর্তার সংখ্যা বিষয়ে কথা বলা যাক। উন্নত বিশ্বে, এমনকি আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতেও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা। সেখানে সাধারণত পিএইচডি ডিগ্রিধারীদেরকে সরাসরি সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ফলে ওইসব দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষকই পিএইচডি ডিগ্রিধারী এবং খুব সংগত কারণেই এ মানদণ্ডে তারা আমাদের থেকে এগিয়ে থাকেন।
এ কারণে সেখানে যেসব মেধাবী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে চান, তারা আগে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। কিন্তু আমাদের দেশে চাকরির অনিশ্চয়তা থাকায়, মেধাবী শিক্ষার্থীরা আগেই চাকরিতে প্রবেশ করতে চান। আগে পিএইচডি করতে গেলে, সেটা শেষ করে আসতে আসতে সরকারি চাকরির বয়স শেষ হয়ে যায়। তখন সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চাকরির সুযোগ থাকে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ল্যাটারাল এন্ট্রি বা পার্শ্ব-প্রবেশ প্রক্রিয়ায় প্রভাষক নিয়োগ করা হয় যেখানে প্রায়ই বয়সের বাধা থাকে। আরো নানা কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পাওয়ার সুযোগ অধিকাংশ সময় কম থাকে। এ কারণে আমাদের তরুণ শিক্ষকদের প্রায় সবাই পিএইচডি ডিগ্রি ছাড়াই শিক্ষকতায় প্রবেশ করেন।
এ সমস্যার সমাধান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর পরই তরুণ শিক্ষকদেরকে ক্লাসরুমে পাঠানোর আগে সরকারি খরচে পিএইচডি করতে পাঠানো যেতে পারে। এভাবেই সামরিক বাহিনী, পুলিশ বাহিনী বা প্রশাসনসহ সরকারি অনেক পেশায় যোগদানের পর কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে আগে সরকারি খরচে প্রশিক্ষণ নিতে পাঠানো হয়।
বিশ্ব র্যাংকিংয়ের জন্য আরেকটি বিবেচ্য বিষয় হলো প্রাতিষ্ঠানিক আয়। রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দায়িত্ব থাকে ন্যূনতম খরচে নাগরিকদের জন্য উচ্চশিক্ষার পথ সুগম করা। ফলে তাদের আয়ের সুযোগ থাকে খুব কম যা বিশ্ব র্যাংকিংয়ে আমাদের পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ।
আয় বৃদ্ধির বিকল্প পথ হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ উন্মুক্ত করা এবং চাহিদাভিত্তিক প্রফেশনাল প্রোগ্রাম ও কোর্স চালু করা। কিন্তু অর্থাভাবে অত্যাধুনিক ল্যাব যেমন অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি করা সম্ভব হয়নি, তেমনি পর্যাপ্ত দক্ষ জনবলেরও ঘাটতি রয়েছে। আবার প্রফেশনাল প্রোগ্রাম ও পেইড-কোর্স চালু করার বিষয়টিও আমাদের দেশে ভালোভাবে দেখা হয় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটাকে বরং নিরুৎসাহিতই করা হয়।
একটা বিশ্ববিদ্যালয় নানা উদ্ভাবনের জন্য বছরে কতটা পেটেন্ট নিবন্ধন করতে পারছে, সেটাও বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিংয়ের একটি মানদণ্ড। এক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতা এখনো পোক্ত হয়নি। পর্যাপ্ত পেটেন্ট নিবন্ধন করার জন্য যে ধরনের গবেষণার পরিবেশ ও সুযোগ প্রয়োজন তা দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান নেই।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মূলত টিচিং বিশ্ববিদ্যালয়-গবেষণাপ্রধান নয়। ফলে উদ্ভাবনের মাধ্যমে পেটেন্ট করার মতো যথেষ্ট সময় ও সুযোগ শিক্ষকদের থাকে না। পাঠদান ও তার প্রস্তুতি গ্রহণ, পরীক্ষা, উত্তরপত্র মূল্যায়ন—এসব করতে করতে পেটেন্ট করার মতো কাজ নিয়ে গবেষণা করার পর্যাপ্ত সময় আর থাকে না বললেই চলে। তার পরও মেধাবী ও উদ্যমী কিছু শিক্ষক শত প্রতিকূলতার মাঝেও উদ্ভাবন করেন। কিন্তু পেটেন্টের আবেদন করলেও দীর্ঘসূত্রতার কারণে যথাসময়ে আশার আলো কদাচিৎ দেখা যায়।
শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বিশ্ব র্যাংকিংয়ের অন্যতম মানদণ্ড। এ অনুপাত ১:১৫-এর বেশি হওয়া উচিত নয় বলে আন্তর্জাকিভাবে স্বীকৃত। তবে তা আরো কম হলে ভালো। কিন্তু বাংলাদেশে অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এ অনুপাত আদর্শ মানদণ্ডের ধারেকাছেও নেই। এজন্য প্রয়োজন অধিক হারে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ।
বিশ্ব র্যাংকিংয়ে অবস্থান উন্নীত করার আরেকটি মানদণ্ড হলো, মানসম্মত আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণারপত্রের সংখ্যা এবং তার উদ্ধৃতি বা সাইটেশন সংখ্যা। এখানে বিশ্ব র্যাংকিংয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পিছিয়ে থাকে মূলত তিনটি কারণে। এগুলো হলো:
প্রথমত, মানসম্মত আন্তর্জাতিক জার্নালে যে মানের গবেষণা প্রকাশ করা হয়, সেটা সম্পন্ন করতে পর্যাপ্ত অর্থ, সময় এবং ল্যাব ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয়, যা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অপ্রতুল। দ্বিতীয়ত, এসব জার্নালে গবেষণাপত্র প্রকাশ করতে হলে কয়েকশ থেকে কয়েক হাজার ডলার পর্যন্ত খরচ হয় আর্টিকেল প্রসেসিং চার্জ বা এপিসি হিসেবে। উন্নত বিশ্বে এ খরচ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বহন করে। কিন্তু আমাদের দেশে শিক্ষকদেরকে সংসার চালানোর খরচ বাঁচিয়ে এ টাকা জোগাড় করতে হয়।
তৃতীয়ত, হাজার রাতের পরিশ্রমলব্ধ গবেষণাপত্র প্রকাশের জন্য দেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো প্রণোদনা নেই। একজন শিক্ষক সাধারণত অফিস সময়ের বাইরে রাত-দিন পরিশ্রম করে এসব গবেষণা সম্পন্ন করেন। কিন্তু এর জন্য কোনো প্রণোদনা নেই যা উন্নত বিশ্বে আছে। ফলে সেখানকার শিক্ষকদের মাথাপিছু উন্নত প্রকাশনার সংখ্যা বেশি থাকে যা তাদের বিশ্ব র্যাংকিংয়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
এসব সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশের শিক্ষকরা গবেষণাপত্র প্রস্তুত করেন। কিন্তু অর্থাভাবে তারা খোঁজেন বিনা পয়সার জার্নাল যার সংখ্যা দিন দিন কমছে। গবেষক বিনা পয়সায় গবেষণাপত্র প্রকাশ করতে পারলেও পাঠককে কিন্তু সেই গবেষণাপত্র পড়ার জন্য ডলার গুনতে হয়। এ কারণে এসব গবেষণাপত্রের পাঠক সংখ্যা যেমন সীমিত হয়, তেমনি সীমিত হয় তার উদ্ধৃতিও। ফলে দরিদ্র গবেষকের গবেষণাপত্র ভালো জার্নালে প্রকাশ করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়ে ও তার সাইটেশনও কমে যায়, যা বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিংয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
এছাড়া আমাদের শিক্ষকরা যখন সংসার চালাতে হিমশিম খান, ছেলেমেয়েদের শিক্ষা আর পরিবারের সদস্যদের উপযুক্ত চিকিৎসার খরচ চালাতে ব্যর্থ হন, বাড়ি-গাড়ির স্বপ্ন যখন অধরা থেকে যায়, তখন তার গবেষণা করার জন্য যে ধরনের মানসিক প্রশান্তি ও শক্তির প্রয়োজন হয় তা আর থাকে না। গবেষণা চাপিয়ে দিয়ে আদায় করা যায় না—এজন্য স্বতঃস্ফূর্ততা লাগে।
বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিংয়ের জন্য আরো কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো শিল্পায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পাদিত গবেষণার প্রভাব, গবেষণা সম্পাদন ও প্রকাশে আন্তর্জাতিক গবেষকদের সম্পৃক্তকরণ, বিদেশী শিক্ষক নিয়োগ, বিদেশী শিক্ষার্থী ভর্তি, দেশীয় শিক্ষার্থীদের বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ ইত্যাদি। এসবের প্রতিটি ক্ষেত্রে অর্থের সম্পৃক্ততা রয়েছে। কিন্তু সেই অর্থ জোগানোর ক্ষমতা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নেই।
বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিংয়ের কেন্দ্রে থাকেন ভালো শিক্ষক ও তাদের উদ্ভাবন ও আত্মনিবেদন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমাদের অমিত মেধাবীরা এখন আর শিক্ষকতা পেশায় আসতে চান না। কারণ শিক্ষকতা এখন একটা অনাকর্ষণীয় ও প্রান্তিক পেশায় পরিণত হয়েছে। এসব সত্ত্বেও যারা ব্যক্তিগত আগ্রহ বা প্যাশনের কারণে এ পেশায় আসছেন, তারা চাকরিতে যোগদানের পর নিজেদেরকে সুযোগবঞ্চিত বোধ করছেন ও হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। এ পেশাগত অসন্তোষ বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিংয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
এসব কারণে পিএইচডি গবেষণা সমাপনান্তে উত্তর আমেরিকা বা অস্ট্রেলিয়া থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের দেশে ফেরত আসার সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে কমছে। বিশেষ করে উত্তর আমেরিকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ফেরত আসা এখন একটা বিরল ঘটনায় পরিণত হয়েছে। বিশ্ব র্যাংকিংয়ে ভালো অবস্থানে উঠতে হলে মেধাবীদের দেশে না ফেরার প্রবণতা রোধ করার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। কিন্তু সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ প্রবণতা রোধ করার ক্ষমতা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হাতে নেই—এটা সরকারের হাতে।
ফলে এটা সহজেই অনুমান করা যায় যে বিশ্ব র্যাংকিংয়ে ভালো করার সদিচ্ছা যেমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর রয়েছে, তেমনি রয়েছে তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক সক্ষমতা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিংয়ে ভালো করার জন্য যেসব সূচক, মানদণ্ড ও নিয়ামক রয়েছে, তা নিশ্চিত করার ক্ষমতা এককভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নেই। এ বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে সরকারকেই এ লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
- ড. মো. মুনিবুর রহমান: সহযোগী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সূত্র: বণিক বার্তা

