জুলাই জাতীয় সনদ, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, নির্বাচনে জোট গঠন, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন ১২-দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম।
শাহাদাত হোসেন সেলিম: যেহেতু আমরা দীর্ঘদিন ধরে আলাপ–আলোচনা করে জুলাই সনদ বিষয়ে একমত হতে পেরেছি এবং কিছু কিছু নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে এটাতে স্বাক্ষর করেছি, তাই এটার বাস্তবায়নে তেমন কোনো সমস্যা হবে না। আর আইনগত যে দিকগুলো আছে, সেগুলো নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে একটা রাস্তা বের করার চেষ্টা করছি।
শাহাদাত হোসেন সেলিম: সম্ভবত তাঁরা কারও প্ররোচনার শিকার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বয়স এবং অভিজ্ঞতার যথেষ্ট ঘাটতি আছে। তাঁদের যাঁরা গাইড করছেন তাঁরাও তাঁদের সঠিকভাবে গাইড করতে পারছেন না। আশা করি এনসিপি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে। এ বিষয়ে আমরাও তাদের সঙ্গে আলাপ–আলোচনা করছি।
শাহাদাত হোসেন সেলিম: খুব একটা প্রভাব পড়বে না এই কারণে, মেজর রাজনৈতিক দলগুলো এই সনদে স্বাক্ষর করেছে।
শাহাদাত হোসেন সেলিম: না; প্রশ্নই আসে না। আমরা বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়েছি এ রকম নয়। অনেক ক্ষেত্রে বিএনপির বিরোধিতাও করেছি। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে একটা ঐক্য হয়েছে। সেটা দৃষ্টিভঙ্গির কারণে এবং যৌক্তিকতার কারণে।
শাহাদাত হোসেন সেলিম: আমাদের অনেকের মধ্যেই হয়তো নির্বাচন করার ইচ্ছা আছে। বিএনপিকে যে তালিকা দেওয়া হয়েছে, সেখানে নাম থাকলে অনেকে খুশি হবে, সে জন্য দেওয়া হয়েছে। এসব কারণে সংখ্যাটা বেড়ে গেছে। এতে আমরাও বিব্রত বোধ করছি। তবে আমরা মনে করি, যার নির্বাচনে জিতে আসার সম্ভাবনা আছে, তাদের বিষয়েই বিএনপি পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেবে এবং সেই সিদ্ধান্তকে আমরা প্রত্যেকে স্বাগত জানাব।
আমরা চাই না অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো উপদেষ্টা নির্বাচন করুন। তাতে এই সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হবে। নির্বাচনী এলাকায় আমার জনপ্রিয়তা আছে। সেখানে কেউ নির্বাচন করলে কী হবে না হবে—এই বিষয় নিয়ে কোনো চিন্তা করছি না।
শাহাদাত হোসেন সেলিম: ইতিমধ্যে বিএনপির একেবারে দায়িত্বশীল নেতাদের পক্ষ থেকে আমাকে এবং আমার নির্বাচনী এলাকার অনেককে ডেকে মোটামুটি একটা ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে এবং আমাকে নির্বাচনের জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বলেছেন। আমি সেই হিসেবে কাজ করছি।
শাহাদাত হোসেন সেলিম: বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতৃত্বে যাঁরা আছেন, তাদের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছি। এ ব্যাপারে আমি সন্তুষ্ট।
শাহাদাত হোসেন সেলিম: আমরা চাই না অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো উপদেষ্টা নির্বাচন করুন। তাতে এই সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হবে। নির্বাচনী এলাকায় আমার জনপ্রিয়তা আছে। সেখানে কেউ নির্বাচন করলে কী হবে না হবে—এই বিষয় নিয়ে কোনো চিন্তা করছি না।
শাহাদাত হোসেন সেলিম: যেভাবে রাজনৈতিক দলগুলো মুখোমুখি হয়ে যাচ্ছে, তারা যদি আন্তরিক না হয়, সে ক্ষেত্রে একটা শঙ্কা তো থেকেই যায়। তারপরও আমার মনে হয় ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। তা না হলে যা ঘটবে, সেটা বহন করার মতো শক্তি আমাদের নেই।
শাহাদাত হোসেন সেলিম: এই দাবি যথার্থ মনে করছি। কারণ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য সরকারকে পূর্ণ মনোযোগ দিতে হবে। এ জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় যাওয়া দরকার।
- প্রশ্নকারী: আপনাকে ধন্যবাদ।
- শাহাদাত হোসেন সেলিম: আপনাকে ধন্যবাদ।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের। সূত্র: প্রথম আলো

