চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সাতটি সিমেন্ট কোম্পানির মধ্যে চারটির আয়ে উল্লিখনযোগ্য বৃদ্ধি হয়েছে। দুই কোম্পানির আয়ে পতন হয়েছে। আরামিট সিমেন্ট লিমিটেডের উৎপাদন জুলাই থেকে বন্ধ থাকায় এই সময়ে এ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি।
জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে আয়ের দিক থেকে এগিয়েছে কনফিডেন্স সিমেন্ট পিএলসি, ক্রাউন সিমেন্ট পিএলসি, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ পিএলসি ও হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালস বাংলাদেশ পিএলসি। এই চার কোম্পানির মধ্যে তিনটির নিট মুনাফাও বেড়েছে। হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালস আগের লোকসান পেরিয়ে মুনাফায় ফিরে এসেছে। অন্যদিকে, প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস পিএলসি ও মেঘনা সিমেন্ট মিলস পিএলসির আয়ে কমতি এবং নিট মুনাফায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
কনফিডেন্স সিমেন্ট পিএলসি: ২০২৫-২৬ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির আয়ে হয়েছে ১০৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৮৪ কোটি ১১ লাখ টাকা। আয় বেড়েছে ২৩.৩৭ শতাংশ। নিট মুনাফা সামান্য বেড়ে ৩৪ কোটি ২৪ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
ক্রাউন সিমেন্ট পিএলসি: একই সময়ে আয়ে হয়েছে ৮৭৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, আগের বছরের তুলনায় ২৫.৩৭ শতাংশ বেড়েছে। নিট মুনাফা ৭৬.৮৮ শতাংশ বেড়ে ৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকায় পৌঁছেছে।
লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ পিএলসি: জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে আয়ের পরিমাণ ৬৬৮ কোটি ৩ লাখ টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ৬.৪৯ শতাংশ বেড়েছে। নিট মুনাফা ৩৬.৪৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১১৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালস বাংলাদেশ পিএলসি: একই সময়ে বিক্রি হয়েছে ৩২৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা, আগের বছরের তুলনায় ১১.৪৭ শতাংশ বৃদ্ধি। কোম্পানি লোকসান থেকে মুনাফায় ফিরে এসেছে।
প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস পিএলসি: জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে আয়ে এসেছে ৫১৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ০.৩১ শতাংশ কম। নিট মুনাফা ১০.৬৬ শতাংশ কমে ১ কোটি ২৯ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
মেঘনা সিমেন্ট মিলস পিএলসি: একই সময়ে আয়ে হয়েছে ২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, যা আগের বছরের ১৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকার তুলনায় ৮৫.০৬ শতাংশ কম। নিট লোকসান ৬ দশমিক ৪৪ গুণ বেড়ে ৬৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকায় পৌঁছেছে।

