পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ও বহুজাতিক কোম্পানির ন্যায্য প্রাইসিং ও ভ্যালুয়েশন নিশ্চিত করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন—বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। গতকাল তিনি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক অফার অব ইকুইটি সিকিউরিটিজ) বিধিমালা, ২০২৫-এর খসড়া নিয়ে আয়োজিত বৈঠকে এই আশ্বাস দেন।
বৈঠকে চেয়ারম্যান বলেন, নতুন বিধিমালার মাধ্যমে আইপিও-সংশ্লিষ্ট রেগুলেটরি কাঠামো আধুনিক ও শক্তিশালী করা হয়েছে। এতে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী কোম্পানিগুলো ন্যায্য প্রাইসিং ও ভ্যালুয়েশনের নিশ্চয়তা পাবে। তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যে বহুজাতিক ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন লাভজনক ও মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিগুলোকে সরাসরি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারের এই নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে জানানো হয়েছে এবং দ্রুত এর বাস্তবায়নে কাজ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে নতুন বিধিমালার বিভিন্ন দিক এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ও বহুজাতিক কোম্পানিকে কীভাবে সরাসরি তালিকাভুক্ত করা যায়—এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা তাদের মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী, ফারজানা লালারুখ ও মো. সাইফুদ্দিন। আরও উপস্থিত ছিলেন ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ, আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের সিইও মাজেদা খাতুন, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. মাহবুবের রহমান চৌধুরী। বৈঠকে বিসিআইসি, সিনোভিয়া ফার্মা পিএলসি, নেভিয়ান লাইফ সায়েন্স পিএলসি, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি এবং সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের প্রতিনিধিরাও যোগ দেন।
পাবলিক অফার অব ইকুইটি সিকিউরিটিজ বিধিমালা, ২০২৫ এখনও খসড়া পর্যায়ে রয়েছে। এই খসড়ার ওপর মতামত দেওয়ার সময়সীমা শেষ হয় গত ১৫ নভেম্বর। বাজার অংশীজনরা জানান, তারা বিভিন্ন বিষয়ে মতামত দিলেও খসড়ায় তা প্রতিফলিত হয়নি। পরে কমিশন অংশীজনদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করে।
এসব বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ), পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানির সংগঠন বিএপিএলসি, বাংলাদেশ মাচেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষ, ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি), মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম), সিডিবিএল, আইসিএবি, এফবিসিসিআই, ইস্যুয়ার কোম্পানির প্রতিনিধি এবং বাজারের অন্যান্য অংশীজন।

